প্রতিবেদন : ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ায় (Chhoto Angaria) ঘটেছিল নৃশংস গণহত্যা। তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন সিপিএমের হার্মাদরা হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়িতে। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় পাঁচ তৃণমূল কর্মীর। কয়েকজন পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। ঘটনার তদন্তে পুলিশকেও এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় সিপিএম-দুষ্কৃতীরা। সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দেয় সেই ঘটনা। এক সময় ছোট আঙারিয়ার নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত। অন্য দল করলেই অত্যাচার সইতে হত মানুষকে। ঠিক ২০ বছর পর রাজ্যে পালাবদল ঘটার পর এই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছোট আঙারিয়ায় (Chhoto Angaria)। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বক্তারের সেই বাড়িটিও ফের মাথা তুলেছে। মাটির দেওয়াল ভেঙে পাকা হয়েছে দালান। শুধু ওই বাড়িটিই নয়, গ্রামেও হয়েছে ঢালাও উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। কয়েক দিন আগেই ছোট আঙারিয়ায় শহিদ দিবস পালিত হলে সেখানে বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক খবর, গ্রামের ৩৪টি পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পাকা বাড়ি পাবে। ৪টি পরিবার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও গিয়েছে ইতিমধ্যে। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি মাটির হওয়ায় এতকাল সমস্যায় পড়তে হত বাসিন্দাদের। বর্ষায় ঘরে জল উঠে যেত। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দৌলতে অবশেষে স্বস্তি পেতে চলেছেন অনেকেই। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া জনৈক আখতার মল্লিকের কথায়, ‘সিপিএম জমানায় রাজনৈতিক হানাহানি লেগেই থাকত। সেই অশান্ত সময় কেটেছে।
সরকারি প্রকল্পে বাড়ির টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় ভেবেছিলাম আর পাব না। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির টাকা দেওয়ায় ভীষণ উপকার হল।’
আরও পড়ুন- উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে এবার সিকিউরিটি থ্রেট কোড