প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের মতো অহেতুক দাবি তুলেছে বিরোধীরা। এদিকে, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে যখন ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে ধর্ষণের তালিকা সে বিষয়ে মুখের রা নেই বিরোধীদের। ফের একবার একচোখা বিচারের বিষয়টি প্রমাণিত হল। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে এক মহিলার উপর নারকীয় অত্যাচার করা হয়। গত ১১ জুন ৩৪ বছর বয়সি এক মহিলাকে জোর করে গুদামে টেনে নিয়ে যায় ৫ যুবক। তাঁকে ভয় দেখিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা নগ্ন করে নাচানো হয় তাঁকে। তার পর মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। টিভিতে যৌনতার ভিডিও দেখে ওই মহিলাকে অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনায় কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এরপর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। ১৪ অগাস্ট মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় অভিযোগ শুনে তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশরও ১৯ দিন পর পুলিশ এফআইআর নিল!
আরও পড়ুন- বাংলায় মানবিক পুলিশ, হিংস্র চেহারা যোগীরাজ্যে
এরপরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি পদত্যাগ করেছেন? বিজেপি কি এর বেলায় চোখে পর্দা পরে বসে রয়েছে? সেই রাজ্যে তো তাদের দল শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব রয়েছে তাহলে সেখানে কেন এত অরাজকতা? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ইন্দোরে ৩৪ বছর বয়সি এক মহিলাকে নগ্ন করে নাচ, ধর্ষণ ও বিকৃত যৌন নির্যাতন করে ৫ দুর্বৃত্ত। আর এই ঘটনার এফআইআর গ্রহণ করতে পুলিশ নিয়ে নিল দু-মাস। তারপরেও অপরাধীরা অধরা কেন? মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব কোথায়? পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে না কেন?
প্রশ্ন উঠছে এত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ এফআইআর নিতে গড়িমসি করল? কেনই বা মামলা দায়ের করার জন্য আদালতে যেতে হল নির্যাতিতাকে? এদিকে এই ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।