পুজোর আগেই প্রস্তুত বনবিভাগের ৩৫ হোটেল

২০২১ সালে কোভিডের জন্য দীর্ঘ অনেকমাস বন্ধ হয়ে পড়েছিল বন দফতরের আওতায় থাকা রিসর্টগুলি। বুকিং নেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হয়।

Must read

প্রতিবেদন : ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। কিন্তু খরচ প্রচুর। তার থেকেও বড় সমস্যা পুজোর ছুটিতে মিলেছে না হোটেল। অথচ শহর থেকে দূরে যাওয়ার ইচ্ছেটা দমানো যাচ্ছে না কিছুতেই। তাই এবার চিন্তা ছেড়ে ব্যাগ গোছানোর সময় এসেছে। সৌজন্যে বন দফতর। কারণ খুব কম খরচে বন দফতরের নেচার রিসর্টগুলি পাওয়া যাচ্ছে। প্রকৃতির কোলে এমনই ৩৫টি রিসর্ট অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। যেখানে কম খরচে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের প্রগতির পক্ষে সওয়াল মন্ত্রীর, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই শিল্প

২০২১ সালে কোভিডের জন্য দীর্ঘ অনেকমাস বন্ধ হয়ে পড়েছিল বন দফতরের আওতায় থাকা রিসর্টগুলি। বুকিং নেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে রিসর্টগুলি চালু হয়ে গেলেও সেভাবে পর্যটক টানতে পারছিল না সেগুলি। পুজো এবং আসন্ন শীতের মরশুমকে মাথায় রেখে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে আপাতভাবে রিসর্টগুলিকে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফে। ওয়েস্টবেঙ্গল ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের আওতায় থাকা ৩৮টির মধ্যে ৩৫টি রিসর্ট ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নয়া নির্দেশিকা

পর্যটকরা নির্দষ্ট দফতরের ওয়েবসাইট থেকেই টিকিট বুকিং করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে পর্যটকদের টিকিট বুকিং করতে সমস্যা হলে সেই ব্যবস্থাও রেখেছে বন দফতর। এক্ষেত্রে সল্টলেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের দফতরে রয়েছে হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা। দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীরজ সিংহল জানিয়েছেন, এই বুকিং থেকেই ৫ কোটি টাকা আয় ছিল রাজ্যের, করোনার কারণে গত দু’বছরে সেই আয়ের পরিমাণ কমে গেলেও এ বছর ফের রেকর্ড লাভের মুখ দেখবে রাজ্য।

Latest article