প্রতিবেদন : না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গার স্লোগানের আড়ালে প্রধানমন্ত্রী আসলে যে দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিগ্রস্তদেরই প্রশ্রয় দিচ্ছেন ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল। খড়্গপুরে বিজেপি নেতার হোটেলে ঘর থেকে টাকা উদ্ধারের পরের দিন বিজেপির নির্দেশে কমিশন সরিয়ে দিল জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে। রবিবার রাতে খড়গপুরের বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলের হোটেলের ঘর থেকে হিসাববহির্ভূত বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ (৩৫ লক্ষ)। এই বিজেপি নেতাকে ওইদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রীর সভা মঞ্চে দেখা গিয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমিত মণ্ডলের ছবি শেয়ার করে তীব্র কটাক্ষ করে ক্যাপশনে লেখেন, মঞ্চে : না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। আর মঞ্চের বাইরে : কালা পয়সা জমাউঙ্গা অর জমানে দুঙ্গা! এরপর আরও একবার এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, ধর্ষক ও দুর্নীতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়— এটাই হল মোদির গ্যারান্টি। একই সঙ্গে তিনি লেখেন, যাকে মোদির মঞ্চে দেখা গিয়েছে, তার হোটেলের ঘর থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এসপিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, মোদি কি তাঁর কথায় অটল থাকবেন এবং বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? যিনি গতকাল খড়গপুরে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ঠিক পরেই ৩৫ লক্ষ টাকার হিসেববিহীন নগদ-সহ ধরা পড়েছিলেন?
আরও পড়ুন- ফের বাহিনীর হাতে শ্লীলতাহানি, এবার গাছে বেঁধে প্রহার
রবিবার রাতে খড়গপুর থানার সাহাচক এলাকায় একটি হোটেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। হোটেলের একাধিক ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। তিনতলার ঘর থেকে পাওয়া একটি ব্যাগ তল্লাশি করে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার করে পুলিশ। এই সমিত মণ্ডল মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এর পরেই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে বিজেপি এলাকায় বিলি করার উদ্দেশ্যে এই টাকা নিয়ে এসেছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।