পুজোর মরশুমে হাঁসফাস অবস্থা ত্রিপুরাবাসির। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের অপদার্থতা ও একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ির জন্য জিনিষপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। দাম কমানো নিয়ে বর্তমান ত্রিপুরা সরকারের কোনও মাথাব্যাথাও নেই।
আরও পড়ুন-ঢাক ছাড়া পুজো হয় না, করোনা আবহে কেমন আছেন ঢাকিরা?
ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরাও দীর্ঘদীন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছেন। বকেয়া ডিএ সহ একাধিক দাবি দাওয়া রয়েছে তাঁদের। দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানালেন, পুজোর মরশুমে ত্রিপুরার মানুষের মুখে হাসি নেই। একদিকে জিনিষপত্রের অস্বাভাবিক দাম অন্যদিকে শাসক দল বিজেপির দমন নীতি, বেকারত্ব, আাইশৃঙ্খলার অবনতি, চোরাচালান, রাজ্য জুড়ে নেশার রমরমা কারবার যাতে শাসক দলের অনেক বিধায়কই জড়িত এসব মিলিয়ে ধ্বংসের পথে ত্রিপুরা। একমাত্র তৃনমুল কংগ্রেসই পারে নতুন ত্রিপুরা গড়তে। সেকারণেই তিনটি দলে ভাগ হয়ে ত্রিপুরার সব জেলায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। সুবল ভৌমিকের কথায়, এই সবকিছুর প্রভাব পড়বে সামনের নগর পঞ্চায়েত, পুর পরিষদ ও কর্পোরেশন নির্বাচনে।
আরও পড়ুন-ফিলাডেলফিয়ায় ‘ঘরোয়া’ পুজো এবার একদিনেই শেষ
রবিবার মহা পঞ্চমীতেও তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান অব্যাহত রইল। এদিন ত্রিপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাওমনু ও গণ্ডাছড়া বিধানসভা থেকে ৩৬৬ জন যোগ দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসে। বিজেপি, সিপিএম ছাড়াও বিজেপির সহযোগি দল আইপিএফটি থেকেও নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। ত্রিপুরার জনজাতি গোষ্ঠীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা বিদ্যামোহন চাকমার নেতৃত্বে এদিন সকলে আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে সুবল ভৌমিকের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন।