মার্চে চাকরিহারা ৪২ লক্ষ! মোদির ‘বিকশিত ভারতে’ উদ্বেগ

কিন্তু তাঁর এই ১১ বছরের শাসনে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতিই মিলেছে, তা রক্ষা হয়নি আজও। উল্টে দেশের বুকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব।

Must read

প্রতিবেদন : বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিকশিত ভারতের ভাঁওতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর এই ১১ বছরের শাসনে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতিই মিলেছে, তা রক্ষা হয়নি আজও। উল্টে দেশের বুকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। তীব্র হতাশায় কাজ খোঁজাই ছেড়ে দিয়েছে বেকার যুবসমাজ। কেন্দ্রের রিপোর্টেই এমন উদ্বেগ ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বিএমডব্লিউর সঙ্গে ইনোভার রেষারেষির মাঝে পড়ে মৃত বাইক চালক

বিরোধীদের অভিযোগ ছিলই, সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি অর্থাৎ সিএমআইই রিপোর্টে ধরা পড়েছে চাঞ্চল্যকর ছবি। ২০২৫-এর মার্চ মাসে দেশজুড়ে চাকরি হারিয়েছেন ৪২ লক্ষ মানুষ। এক মাসে এই বিপুল পরিমাণ চাকরি হারানোর ঘটনায় উদ্বেগ দেশজুড়ে। দেশে রোজগারের সুযোগ কমেই চলেছে। বন্ধ হচ্ছে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। হতাশায় কাজ খোঁজাই ছেড়ে দিচ্ছে দেশের যুবসমাজ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাংলায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। কিন্তু দেশের বুকে এক মাসে যে ৪২ লক্ষ চাকরি চলে গেল, তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। হেলদোল নেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের। দেশে ‘লেবার ফোর্স’ কমেই চলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ‘লেবার ফোর্স’ ছিল দেশে। মার্চে তা কমে হয়েছে ৪৫ কোটি ৩৫ লক্ষ। অর্থাৎ একমাসে চাকরি হারিয়েছেন ৪২ লক্ষ মানুষ। বেকারত্ব নিয়েও পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশে ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ মানুষ কর্মহীন ছিলেন। মার্চ মাসে তা কমে হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ। এই তথ্য অনুযায়ী মনে হবে, একমাসে বেকারত্ব কমেছে ৩৬ লক্ষ। কিন্তু আদতে তা নয়। সমীক্ষক সংস্থাটিই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চাকরির আবেদন করাই ছেড়ে দিয়েছেন যুব সমাজের একটা বড় অংশ। দেশের কর্মহীনদের তালিকায় তাঁদের ধরা হয়নি। এই রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের তুলনায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগের হারও কমেছে দেশে। প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে নিয়োগ। আইআইটিগুলিতে প্লেসমেন্টের হার কমেছে ১০ শতাংশ। সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টেই এই তথ্য উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যসভায় এই তথ্য দেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Latest article