প্রতিবেদন : কথায় কথায় বেআইনি অর্থের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় বিজেপির ‘শাখা সংগঠন’ সিবিআই-ইডি। সরকারি এই তদন্তকারী সংস্থাগুলি বোধহয় বিশেষ বিশেষ রাজ্যে নিদ্রামগ্ন থাকে। নইলে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে গানের প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে উড়ল ৪ কোটি টাকা। দেশ জুড়ে সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হল। অথচ একবারও তদন্তকারী সংস্থাকে নড়েচড়ে বসতে দেখা গেল না। তারচেয়েও বড় কথা, কোথায় পৌঁছেছে মোদির রাজ্যের সংস্কৃতি যেখানে গানের আসরেই ওড়ে ৪ কোটি টাকা। তাহলে ব্যবসায় কত কোটি যে নগদে উড়ে যায় তার খবর কে রাখে! যাদের রাখার কথা সেই সিবিআই-ইডি কিংবা আয়কর দফতর সম্ভবত বিশেষ বিশেষ রাজ্যে নিদ্রায় গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাঁশদ্রোণীতে আগুন, ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রী
গুজরাতের লোকশিল্পী গীতা রবারি। দূরন্ত গান গেয়েছেন রাতভর। তাঁর গানে শ্রোতারা এতটাই মুগ্ধ যে তাঁকে ভেট দিয়েছেন সব মিলিয়ে ৪ কোটি টাকা। ৫০০ টাকা, ১০০ টাকা এমনকি ২০ টাকা ও ৫০ টাকার নোটও দেখা গিয়েছে। গোটা মঞ্চটা টাকার স্তূপে পরিণত হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে টাকা গুণতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ। শেষমেশ দীর্ঘ গোনাগান্তির পর দেখা গিয়েছে অঙ্কটা ৪ কোটি। মঞ্চের শিল্পী গীতা কচ্ছের কোয়েল নামে খ্যাত। আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর ‘রোমা শের মা’ জনপ্রিয়। শিল্পীও জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন-চুনীর নামে গেট, উদ্বোধনে গাভাসকর, পয়লা বৈশাখে মোহনবাগানে উৎসব
বাংলায় কোথাও নগদ পাওয়া গেলেই চিলচিৎকার শুরু হয়ে যায় বিজেপির। ঢুকে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে গানের আসরে উড়ছে নগদ ৪ কোটি টাকা। তা দেখেও হেলদোল জাগে না তদন্তকারী সংস্থার। ওটা যে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য। গুজরাতে কোনও কিছুই বেআইনি হয় না, হতে পারে না। তাই তো!