প্রতিবেদন : আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তাঁদের সমস্যা শোনার কাজ শুরু করলেন চার মন্ত্রী, শুক্রবার নাগরাকাটার ভগৎপুর চা-বাগান থেকে। মন্ত্রীদের দলে রয়েছেন আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। ওঁরা এদিন ভগৎপুর বাগানে শিবির করে ওরাওঁ, মুন্ডা, নায়েক, সাঁওতাল, অসুর, বড়াইক, মাহালি, সবর, গঞ্জু, লোহরা সম্প্রদায়দের মতো আদিবাসী সামাজিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া ও অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। সেগুলো লিখেও নেন। বিকেলে যান মালবাজারের মিনগ্লাস চা-বাগানে।
আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে আড়িপাতায় মার্কিন আদালতে দোষী পেগাসাসের নির্মাতা
বুলু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিংয়ের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেও ধাপে ধাপে যাব। যেসব দাবিদাওয়ার কথা উঠে আসছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বাবলু মাঝি, নায়েক সমাজকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজিত নায়েক প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন। ডুয়ার্সে মানুষ-বন্যপ্রাণীর সঙ্ঘাত নিয়ে বনমন্ত্রী বলেন, ‘বনকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদেরও এলাকায় গিয়ে সচেতন করার আবেদন জানানো হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, বন্য জন্তুদের হামলায় যতগুলি মৃত্যু হয়েছে তার ৮০ শতাংশই মত্ত থাকার কারণে। এ নিয়েও সচেতন হওয়া জরুরি।