মৌসুমী দাস পাত্র, নদিয়া: দুর্গাপুজোয় বাংলার বনেদি বাড়ির পুজোগুলিতে নিষ্ঠা ও বিশ্বাসের পরিচয় মেলে। এর মধ্যে অন্যতম শান্তিপুর বড় গোস্বামীবাড়ির প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো দেবী কাত্যায়নীর পুজো। নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে আজও এই পুজো হয়ে চলেছে। এখানে মা দুর্গা দেবী কাত্যায়নী রূপে পূজিত হন। দেবীমূর্তিতেও রয়েছে বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য দুর্গাপ্রতিমার (Durga Puja- Nadia) মতো নয় এ বাড়ির প্রতিমা। এখানে দেবীর দুটি হাত বড় ,অর্থাৎ এই দুটি হাত দিয়েই সংহারের কথা বোঝানো হয়েছে। কিন্তু বাকি আটটি হাত অনেকটাই ছোট। বড় গোস্বামীবাড়ির সদস্যদের মতে এই পুজো আনুমানিক বয়স প্রায় ৪০০ বছর। তাঁরা জানান, একদিন তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণ হঠাৎ মন্দির থেকে উধাও হয়ে যান। তারপর গৃহকর্ত্রীরা বাড়ির মন্দিরের উঠোনে বসে দেবী কাত্যায়নীর ব্রত পালন করেন। তিনদিন পর বাড়ির জ্যেষ্ঠ কর্ত্রীকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন রাধারমণ মূর্তি কোথায় রয়েছে জানিয়ে। তারপরেই পাওয়া যায় ইষ্টদেবতার মূর্তি। এর পর থেকেই দেবীর জৌলুসহীন পুজো (Durga Puja- Nadia) শুরু হয় শান্তিপুরের বড় গোস্বামীবাড়িতে। সাবেকি মাতৃমূর্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই একমাত্র অবলম্বন। এখানে দেবীর সন্তান কার্তিক, গণেশ বিপরীত স্থানে অবস্থান করেন। নবপত্রিকা বসানো হয় কার্তিকের পাশে। কর্মক্ষেত্র কিংবা অন্যান্য কাজে বাড়ির যে সমস্ত সদস্যরা বাইরে থাকেন তাঁরা পুজোর চার দিন দেবী কাত্যায়নীর পুজোয় মেতে ওঠেন। আরও জানা যায়, নবমীতে দেশবাসী তথা রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ মঙ্গল কামনা করা হয়। পুজোর ভোগ এলাকার মানুষদের খাওয়ানো হয়। বিবাহিত দীক্ষিত মহিলারাই শুধু দেবী কাত্যায়নীর ভোগ রান্নার কাজে নিযুক্ত হন।