মেঘালয়ে ৪,০০০ টন কয়লা উধাও, অদ্ভুত যুক্তি মন্ত্রীর

হাইকোর্ট সরকারকে কয়লা উধাওয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মন্ত্রীর উত্তরে হতবাক দেশবাসী।

Must read

হাইকোর্ট সরকারকে কয়লা উধাওয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মন্ত্রীর উত্তরে হতবাক দেশবাসী। মেঘালয়ে (Meghalaya) প্রায় ৪,000 টন কয়লা হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এই ঘটনার উত্তরে রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী কাইরমেন শিল্লা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা একপ্রকার অবিশ্বাস্য। মন্ত্রীর দাবি মেঘালয়ে দেশের সর্বাধিক বৃষ্টি হয়। কখনও কখনও এত বেশি বৃষ্টি হয় যে তার ফলেই কয়লা ভেসে গিয়েছে। সেই সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস! জাল ডিগ্রিধারী ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি

তবে তিনি স্বীকার করেন যে প্রাকৃতিক কারণে কয়লা বয়ে যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ রাজ্যের হাতে নেই। রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সবকিছু ভেসে যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, হাইকোর্ট সরকারকে ভর্ৎসনা করার পর গোটা বিষয়টিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য তিনি এই যুক্তি খাঁড়া করলেন। প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের রাজাজু ও দিয়েংনগান গ্রামে সংরক্ষিত কয়লা গায়েব হওয়ার পর, হাই কোর্ট রাজ্য প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। আদালত এই মর্মে প্রশ্ন তোলে এত বিপুল পরিমাণ কয়লা নজরদারির মধ্যে থেকেও কীভাবে উধাও হয়ে গেল? যারা কয়লা সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (NGT) মেঘালয়ে কয়লা খনন ও পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অনিরাপদ ও পরিবেশ এর জন্য ক্ষতিকারক খননপ্রক্রিয়া বন্ধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয় বলে জানা গিয়েছিল। তবে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে আজও চলছে অবৈধ কয়লা খনন। মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী এত বিপুল পরিমাণ কয়লা বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক উপাদানে “ভেসে যাওয়া” কার্যত অসম্ভব। এই ঘটনার পেছনে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও প্রশাসনিক জবাবদিহি প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Latest article