প্রতিবেদন : আবার রেকর্ড গড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত একটি প্রকল্প। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, উৎকর্ষ বাংলা, দুয়ারে সরকার প্রভৃতি প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে। দেশেও মডেল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক প্রকল্প। এবার ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প রেকর্ড গড়ল মাত্র ২০ মাসে। শিল্পের সমাধানে শিবিরে একমাস ভর যে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে, তা অচিরেই কেন্দ্রের প্রকল্পকে টেক্কা দিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাবে, আশাবাদী বাংলার সরকার।
বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ (Bhabishyat Credit Card Scheme) প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছিল প্রকল্পটি। তারপর এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু শনিবার শেষ হওয়া ‘শিল্পের সমাধানে’ শিবিরে যে আবেদন জমা পড়েছে, তাতে এই প্রকল্পে ক্ষুদ্র শিল্পের জোয়ার তৈরি হবে রাজ্যে। আর ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ দু’হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে ক্ষুদ্র শিল্প দফতর। পরিসংখ্যান বলছে, এই শিবিরে দেড় লক্ষ তরুণ-তরুণী ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন ৪০ হাজার তরুণ-তরুণী।
আরও পড়ুন- তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড, ৭ দিন পর খাঁচায় জিনাত, আনা হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়
রাজ্য সরকার মনে করছে, জানুয়ারির মধ্যেই সহজ শর্তে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ প্রদানের অঙ্ক এক হাজার কোটির গণ্ডি ছাড়াবে। আর সমস্ত আবেদন গ্রাহ্য হলে তা অচিরেই দু’হাজার কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’-এর (Bhabishyat Credit Card Scheme) মাধ্যমে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সিরা সহজ শর্তে ভরতুকিযুক্ত এবং জামানতমুক্ত ঋণ পান পাঁচ লক্ষ টাকা ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত। তারপর শিল্পোদ্যোগীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পথচলা শুরু করেন। নতুন আবেদনকারীদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৩১ জানুয়ারি। ক্ষুদ্র শিল্প দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৩২ হাজার আবেদনকারী ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেয়েছেন। অন্যদিকে ১৬টি জেলায় ক্ষুদ্র শিল্পের ‘সিনার্জি’ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদান সম্পূর্ণ হয়েছে। জামানতমুক্ত ও অপ্রাসঙ্গিক শর্ত ছাড়াই ঋণ মেলায় রাজ্যের প্রকল্পেই আস্থা রাখছে বাংলার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনাকে এক্ষেত্রে টেক্কা দিয়েছে বাংলার ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প।