পাঁচ মাস বাংলাদেশে কারাবন্দি, ঘরে ফিরলেন কাকদ্বীপের ৪৭ মৎস্যজীবী

দীর্ঘ পাঁচ মাস বাংলাদেশে কারাবন্দি থাকার পর অবশেষে ঘরে ফিরলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ৪৭ জন মৎস্যজীবী।

Must read

সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : দীর্ঘ পাঁচ মাস বাংলাদেশে কারাবন্দি থাকার পর অবশেষে ঘরে ফিরলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ৪৭ জন মৎস্যজীবী। বুধবার দুপুরে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল বাহিনীর সহযোগিতায় তাঁরা ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে পৌঁছন। বাংলার মাটিতে নামতেই পরিবারের সদস্যদের মুখে স্বস্তির হাসি। প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের কান্নাভেজা আলিঙ্গনে আবেগের পরিবেশ তৈরি হয় বন্দর এলাকায়।

আরও পড়ুন-সেবাশ্রয়ে উপস্থিতি ৫৯ হাজার ছাড়াল

এদিন ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, এসডিও প্রীতম সাহা, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শ্রীমন্ত মালি, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্ট গার্ড আধিকারিকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা। প্রত্যাবর্তনকারী মৎস্যজীবীদের উত্তরীয়, ফুলের তোড়া, শীতবস্ত্র প্রদান করা হয় এবং তাঁদের জন্য প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থাও করে প্রশাসন। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বাংলাদেশের কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রত্যেক মৎস্যজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় তাঁরা ভুলবশত বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তাঁদের আটক করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে মুক্তির পথ সুগম হয়।
বন্দরে নথি যাচাইয়ের পর মৎস্যজীবীদের বাসে করে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে অপেক্ষা করছিলেন। কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে জেলবন্দি ছিলেন এলাকার গরিব মৎস্যজীবীরা। ভুলবশত জলসীমা অতিক্রম করায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বারবার কথা হয়। পাঁচ মাস পর তাঁদের মুক্ত করে আনা সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে আমরা ৩২ জন বাংলাদেশিকে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দিয়েছি। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়।

Latest article