বিপর্যয়ের মুখে মহারাষ্ট্র। এবার পুণেতে (Pune) ভেঙে পড়ল সেতু। রবিবার পুণের কুন্ডমালায় ইন্দ্রায়ণি নদীর ওপরে অবস্থিত সেতুতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বহু পর্যটক। সেতুর উপরে উঠে নদীর প্রবাহের ছবিও তুলছিলেন অনেকে। হঠাৎ বিকট শব্দে মাঝখান থেকে ভেঙে যায় ব্রিজটি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বয়সের কারণে ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি। কিন্তু ছুটির দিন বলে সেই সেতুর উপরে জড়ো হয়েছিল প্রচুর পর্যটক। ভিড়ের চাপেও ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি। এখানেই উঠছে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের প্রশ্ন। এদিনের ঘটনার জেরে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন পর্যটকের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
আরও পড়ুন-অবশেষে রবিবার ভোরে কুলতলিতে খাঁচাবন্দি হল বাঘ
এদিন দুপুর ৩. ৩০ মিনিট নাগাদ পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় থানা তরফে খবর পাওয়া যায় সেতু ভাঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন পর্যটক নদীতে পড়ে যান। এই সেতু পেরিয়েই রয়েছে একটি মন্দির, যেখানে সারা সপ্তাহ ভিড় জমান পর্যটকরা। রবিবার ছুটির দিন সেই অঙ্ক হয়ে যায় দ্বিগুণ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। নদীর স্রোত থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৮ জন। খবর পাওয়া গিয়েছে দুই জন মহিলা ভাঙা ব্রিজের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে।
সেতুর পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং সেই নিয়ে আগেও সুর ছড়িয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেও হয়নি মেরামতির কাজ। অবশেষে আজ দুপুরেই ভেঙে পড়ল সেতুটি। এবার মহারাষ্ট্রে ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ডবল ইঞ্জিন সরকারকে একহাত নিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ”পুণেতে যে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার উদ্ধারকাজ ঠিকমত হতে হবে। ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর কারণ অনেকেই মৃত এবং অনেকে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। দুর্ঘটনা হতেই পারে কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকার এই নিয়েও রাজনীতি করে। কলকাতায় ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নাকি এক্ট অফ গড নয়, এক্ট অফ ফ্রড। তাহলে এখন মহারাষ্ট্রের ব্রিজ, গুজরাতের বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও কী তিনি একই কথা বলবেন? এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা কোন কুরুচিকর মন্তব্য করছি না তবে যথাযত তদন্তের দাবি রাখছি।”