প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে হাড়হিম করা ঘটনা। ডবল ইঞ্জিন সরকারের জঙ্গলের রাজত্বে রেহাই নেই শিশুদেরও। মিরাটে দুস্কৃতীরা নৃশংসভাবে খুন করল একই পরিবারের ৫ জনকে। বন্ধ বাড়ির মেঝেতে পড়েছিল এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। বক্সখাটের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হল ৩ শিশুকন্যার দেহ। প্রতিটি দেহে সুস্পষ্ট গভীর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। বৃহস্পতিবার ছাদের সিঁড়ি দিয়ে ভেতরে ঢুকতে হয় পুলিশকে। এই নৃশংস ঘটনা নিঃসন্দেহে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যোগী প্রশাসনের অযোগ্যতা এবং অপদার্থতাকে।
আরও পড়ুন-বাংলার বাড়ি প্রকল্পে স্বচ্ছতার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্যের, পঞ্চায়েত নয়, নজরদারিতে বিডিওরা
প্রমাণিত হল বিজেপির শাসনকালে কীভাবে খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। এ যেন থ্রিলার ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। বন্ধ বাড়িতে উদ্ধার হল পাঁচ পাঁচটি মৃতদেহ। ঘটনাস্থল মিরাটের লিসারি গেট । জানা গিয়েছে, মৃত পাঁচজন হলেন স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের ৩ কন্যা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়েছিল। সেখানেই তিন কন্যার দেহ বক্স খাটের ভিতরে ভরা ছিল।ঘরের ভিতরে ঢুকে তদন্তকারীরা দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছে মঈন ও তাঁর স্ত্রী আসমার দেহ ৷ আর ৮ বছরের আফসা, ৪ বছরের আজিজা এবং ১ বছরের আদিবার দেহ পড়ে রয়েছে বক্স খাটের ভিতরে ৷ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ঘরের সমস্ত জিনিস৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছে, মৃতদের সকলেরই মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় খুনের কারণও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে ওই পরিবারের কাউকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা। বৃহস্পতিবার ছাদ দিয়ে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ তাদের। দেখতে পান, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দুজনের দেহ। খাটের ভিতর থেকে তিন শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে বয়সে সবথেকে ছোট যে ছিল, সেই শিশুটির দেহ বস্তায় ভরা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের খবর নেই। কুলকিনারা পাচ্ছে না যোগীর পুলিশ।