এনকাউন্টারের জন্য দায়ী ৫ পুলিশ, নির্দেশ এফআইআরের

সোমবার বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বদলাপুর কাণ্ডে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে।

Must read

প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের বদলাপুর কাণ্ডে আদালতে ধাক্কা খেল পুলিশ। সোমবার বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বদলাপুর কাণ্ডে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে। কারণ একটি ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তে দেখা গেছে যে বদলাপুর যৌন নিপীড়ন মামলার অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে এনকাউন্টারে হত্যা করার প্রয়োজন ছিল না। থানে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে শিন্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, শিন্ডে একজন কনস্টেবলের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে আঘাত করেন, যার ফলে অন্য এক কনস্টেবল অভিযুক্তকে গুলি করতে বাধ্য হন। তবে দেখা গেল, এনকাউন্টারে হত্যার পিছনে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় বম্বে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের মামলায় থানের এক ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন জমা পড়েছে বম্বে হাইকোর্টে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঘটনাটি একটি চলন্ত গাড়িতে ঘটেছিল এবং পুলিশ সহজেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারত শক্তি প্রয়োগ না করেও। হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং নীলা কেদার গোখেলের বেঞ্চের সামনে প্রতিবেদনটি একটি সিল করা কভারে জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্ত শিন্ডের আঙুলের কোনও ছাপ অস্ত্রটিতে পাওয়া যায়নি এবং কোনও গুলির অবশেষও শনাক্ত করা যায়নি। এতে প্রমাণ হয় যে শক্তি প্রয়োগ করার যৌক্তিকতা ছিল না।

আরও পড়ুন-বিজেপি-নীতীশের বিহারে ফের বিষমদ ট্র্যাজেডি, মৃত্যু ৭

এছাড়াও, শিন্ডের বাবা-মায়ের অভিযোগের সমর্থন করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এটি একটি ভুয়ো এনকাউন্টার হতে পারে। রাজনৈতিক চাপ সামলাতে অপরাধী প্রমাণ হওয়ার আগেই এনকাউন্টারে অভিযুক্তকে খতম করেছে বিজেপি রাজ্যের পুলিশ। সোমবার হাইকোর্টের বেঞ্চ এই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর হিতেন ভেনেগাঁওকর আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন যে তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, এছাড়া প্রতিবেদনটি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হবে। পরে আদালত রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয় যে প্রতিবেদনটির একটি কপি রাজ্য এবং শিন্ডের বাবার কাছে প্রদান করা হোক, যিনি শিন্ডের মৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসে বদলাপুরের একটি স্কুলে দুই নাবালিকার যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল শিন্ডেকে। গ্রেফতারের পরে তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে তাকে তালোজা জেল থেকে অন্য একটি যৌন নিপীড়ন মামলার তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, যা তার স্ত্রী দায়ের করেছিলেন। তখনই এনকাউন্টারে খতম করা হয় তাকে।

Latest article