১৯৬৯-র ২৫ এপ্রিল মাসিক ‘মিজান’ প্রকাশ পায়। সম্পাদক শেখ নাসীর আহমদ। রেজিস্ট্রেশন ও ডিক্লারেশন পায় ‘মীযান’ নামে। মাসিক পত্রিকাটি পরে সাপ্তাহিক হয়। ৫০ বছর পেরিয়ে সম্প্রতি ৫১ বছরে পদার্পণ করল। সম্পাদনা করেন যথাক্রমে ডাঃ রইসুদ্দিন, রহমত আলি খান, মুহাম্মদ নূরুদ্দিন। বর্তমান সম্পাদক ডাঃ মসিহুর রহমান। এই মুহূর্তে বাংলা পত্র-পত্রিকার জগতে ‘মীযান’-এর ব্যাপ্তি যেন ‘প্রাচীরের গাত্রে এক নামগোত্রহীন ফুল’। অন্ধকার রাতে জোনাকি।
আরও পড়ুন-দুটি অনবদ্য কাব্যগ্রন্থ
ঘৃণা-বিদ্বেষ, বিভাজন-মেরুকরণ ও অসহিষ্ণুতার বিষবাষ্পময় ক্লেদাক্ত পরিবেশে সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতি, সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্বের নিশান হাতে ‘মীজান’। ন্যায় ইনসাফের মশাল-কেতনবাহী। জন্মলগ্ন থেকেই পত্রিকাটি গতানুগতিকতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকেনি। বারংবার সাবধানবাণী শোনাতে চেয়েছে— একবিংশ শতাব্দীতে যে-গ্রহের আমরা বাসিন্দা, অশান্তির দাবানলে সেই পৃথিবী থরহরি কম্পমান। সেই দৃষ্টে পারস্পরিক সামাজিক সহাবস্থানের বার্তা দিয়ে চলেছে ‘মীযান’। পাঁচ দশকী স্বতন্ত্র ঘরানাকে সামনে রেখে সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যায় ‘মীযান’-এর দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে কলম ধরেছেন নাসিম আলি ও মঈনুদ্দিন খান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান গাজা-যুদ্ধের নিরিখে ইজরায়েলের জন্মবৃত্তান্ত ও ফিলিস্তিনের আর্তনাদের কথা তথ্যসমৃদ্ধভাবে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন প্রবন্ধকার আবুল আসাদ। আমিনুল ইসলামের লেখা ‘বাংলায় মুসলমান সম্পাদিত পত্র-পত্রিকা’ তথ্যসমৃদ্ধ। ‘এপার বাংলায় ইসলামী শিশু সাহিত্য চর্চা’ নিয়ে লিখেছেন মুহাম্মদ নূরুদ্দিন। ‘আদর্শ রাষ্ট্রে মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা’ বিষয়ে লিখেছেন প্রবন্ধকার এম এ হান্নান। পাভেল আখতারের লেখা ‘মাতৃভাষা বাংলা : বিভ্রান্তি ও উত্তরণের দিশা’ প্রবন্ধটি এককথায় অনবদ্য। এ ছাড়াও রয়েছে একগুচ্ছ নিবন্ধ ও কবিতার ডালি।