লুধিয়ানায় আটক চাঁচলের ৬ শ্রমিক, পরিবারের পাশে প্রশাসন

এই খবর পাওয়ামাত্রই অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। বুধবার গ্রামে পৌঁছন মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন।

Must read

সংবাদদাতা, মালদহ : পাঞ্জাবে আক্রান্ত মালদহের চাঁচলের ৬ বাংলাভাষী শ্রমিক। বন্দি করে রাখা হয়েছে লুধিয়ানা সেন্ট্রাল জেলে। পশুহত্যার মামলা দেখিয়ে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিশি হেফাজতে তাঁদের উপরে দৈহিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এই খবর পাওয়ামাত্রই অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। বুধবার গ্রামে পৌঁছন মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন।

আরও পড়ুন-জাদেজায় মুগ্ধ সৌরভ, আস্থা নেতা শুভমনেও

তিনি জানান, বিষয়টি রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামকে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শ্রমিক পরিবারগুলোর বক্তব্য, বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী জেলে থাকায় পরিবার চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাংলাভাষী হওয়াতেই এই শ্রমিকদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, ভিনরাজ্যে শ্রমিকদের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কত দ্রুত তাঁরা বাড়ি ফেরেন তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে বেলপুকুরের অসহায় পরিবারগুলো। প্রসঙ্গত, লুধিয়ানায় গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকরা হলেন জাকির হোসেন, রাইহান আলম, কুরবান আলি, আজম আলি, মিনজার আলি ও মুক্তার আলম। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা মাত্র তিন সপ্তাহ আগে লুধিয়ানার একটি হোটেলে মাংস কাটার কাজের জন্য যান। সেখানেই স্থানীয় জনতার হাতে গণপ্রহারের শিকার হন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, জেলে থাকা অবস্থায় তাঁদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকী আইনজীবী নিয়োগ করেও কোনও কার্যকরী সহায়তা মেলেনি। পুলিশের নিযুক্ত আইনজীবী মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে নিলেও তাঁদের পক্ষে সেভাবে আইনি লড়াই করেননি বলেই অভিযোগ উঠেছে।

Latest article