সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি (Barabanki) এলাকায় ট্রাক এবং গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ দেবা থানার কুতলুপুর গ্রামের কাছে কল্যাণী নদীর উপর একটি সেতুতে ট্রাক এবং গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। বাকি দু’জনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতরা সকলেই ফতেহপুর শহরের বাসিন্দা ও গাড়ির যাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর! হাত-পা ভেঙে বালি-আঠা দিয়ে নাক বন্ধ করে যোগীরাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণ-খুন
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রাক যে লেন দিয়ে যাচ্ছিল সেখানে হঠাৎ ঢুকে পড়ে গাড়িটি। দু’টি গাড়িরই গতি প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাড়া করা গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার সময় এই দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয় তাঁদের। পলাতক ট্রাকের চালক। খবর পেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক ত্রিপাঠী এবং পুলিশ সুপার (এসপি) অর্পিত বিজয়বর্গীয় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এসপি অর্পিত বিজয়বর্গীয় এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি জানান, “ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল, ক্রেনের সাহায্যে দুটি গাড়িই সরিয়ে নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়”। পুলিশ কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য লখনউ ট্রমা সেন্টারে রেফার করা হয়।
প্রধান মেডিক্যাল অফিসার অবধেশ কুমার যাদব জানান আহতদের প্রাথমিকভাবে স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (সিএইচসি) চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং তারপর পরিস্থিতি বুঝে লখনউ ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল।

