মজুত সিলিন্ডার দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসন বন্ধ করল ৬ রেস্তোরাঁ

Must read

প্রতিবেদন : রেস্তোরাঁয় মজুত করা রয়েছে ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার। বৃহস্পতিবার মেছুয়ার অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করে সোজা পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানকার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা দেখে অবাক তিনি। একই বিল্ডিংয়ের নিচে ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত! তা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। চটজলদি মেয়র-মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন জরুরি বৈঠকে বসে এর একটা বিহিত করতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ও মন্ত্রী সুজিত বসু। এরপর ছটি রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
মেছুয়া বাজারের এক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। সেই সময় দিঘায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানে থেকে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। দিঘা থেকেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরেই ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুধু বড়বাজার নয় পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউস নিয়েও তাঁর কাছে অভিযোগ আছে। এরপর সটান সারপ্রাইজ ভিজিটে চলে যান ওই বিল্ডিংয়ে। সেখানে কয়েকটি রেস্তোরাঁর পরিস্থিতি দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বিল্ডিংয়ের নিচেই সারি সারি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী তা দেখেই বলে ওঠেন, এত গ্যাস সিলিন্ডার! যদি ফেটে যায়, তা হলে তো ৫০ হাজার লোক মরে যাবে! কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিদের ডেকে দ্রুত আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি। এই পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফায়ার ব্রিগেড কী করবে, ধোঁয়া তো আর নেভাতে পারে না! তার ওপর যদি এত গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়, তাহলে তো প্রচুর মানুষের মৃত্যু হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রেস্তোরাঁর ছাদ কোনও মতেই বন্ধ করা যাবে না। এভাবে ছাদ বন্ধ করে রেস্তোরাঁ চলতে পারে না।
এ-প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি একজনের থেকে এই বিষয়টি জানতে পারেন। সে আমাকে বলেছিল একটা স্বল্প পরিসর সিঁড়ি আর একটা ছোট্ট লিফট, যাতে ২ জনের বেশি ওঠা যায় না। সেখানে এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থরে থরে সাজানো। আগুন লেগে গেলে মানুষ নামবে কী করে? পুরসভা, দমকল এবং পুলিশকেও এভাবে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে। মানুষকেও বলব সজাগ থাকুন, প্রয়োজনে আমাদের খবর দিন।

আরও পড়ুন: উদ্বোধনের প্রথম ৩ ঘণ্টায় ২ লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম

Latest article