প্রতিবেদন : এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটিতে গড়ে উঠছে নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প। ইতিমধ্যেই তার কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই বিশাল প্রকল্প চালু করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ১২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন পাতার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আর মাত্র ৭০০ কিলোমিটার পাইপ লাইন পাতা হলেই এলাকার বাসিন্দারা এই প্রকল্পের জল পেয়ে উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন-রাহুলই শুরুতে, জানালেন রোহিত
এই বিষয়ে খুব সম্প্রতি একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় নন্দীগ্রাম ১ বিডিও অফিসে। সেখানে ব্লকের সব পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত ছিলেন। জলপ্রকল্পটিকে সামনে রেখে ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের দাবিতে কিছু জায়গায় কাজের সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বিডিও অফিসে হয় এই কর্মশালা। গেঁওখালির হলদি নদী থেকে জল তুলে পরিস্রুত করার পর তা পাঠানো হবে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের ১৫টি ওভারহেড রিজার্ভারে জল পৌঁছনোর পর ১৯৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই জল দুটি ব্লকের সব ক’টি গ্রামে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন-ফ্লিক কোথায়, যশস্বীকে স্টার্ক
এছাড়া নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গড়চক্রবেড়িয়া ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের মনোহরপুরে গ্রাউন্ড লেভেল রিজার্ভার নির্মাণের পাশাপাশি দুই জায়গায় সাবস্টেশন, পাম্প হাউস-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজও চলছে। সেই সঙ্গে চলছে নরঘাটে হলদি নদীর উপর মাতঙ্গিনী সেতুর পাশ দিয়ে পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ। নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর এই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পিএইচই দফতর। তাই আলাদা করে প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট গড়া হয়েছে। তমলুকের মানিকতলায় পুরনো জেলা পরিষদ অফিসে প্রজেক্ট অফিসে একজন সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে কাজ দেখাশোনা করছেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। পাইপ লাইন পাতার কাজে কোনও কোনও ক্ষেত্রে রেল, আইওসি, এনএইচ কর্তৃপক্ষ, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়ে অথরিটি বা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অনুমোদন বাধ্যতামূলক হওয়ায় তা পেতে সময় লাগছে। ১৫-২০ বছর আগে গ্রামবাসীদের দান করা জায়গার উপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তা গিয়েছে। সেই রাস্তা বরাবর পাইপ লাইন পাততে গিয়ে কেউ ক্ষতিপূরণ, কেউ চাকরির দাবিতে সরব হওয়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছে। তবে কাজ শেষ হলে এই প্রকল্পে নন্দীগ্রাম বিধানসভার ১৭টি পঞ্চায়েত এলাকার সব বাড়িতে পরিস্রুত জল পৌঁছবে। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর এই প্রজেক্টে চণ্ডীপুর ও নন্দকুমার ব্লকেও জল সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।