দেশের বিচারব্যবস্থাকে নিয়ে চিন্তায় দেশের আইনজীবীরা। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নানা প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। এমনই দাবি দেশের আইনজীবীদের। এই নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (CJI Chandrachud) চিঠি দিলেন দেশের ৬০০ জনেরও বেশি আইনজীবী। যে আইনজীবীরা চিঠি দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হরিশ সালভে, মনন কুমার মিশ্র, আদিশ আগরওয়াল, চেতন মিত্তল, হীতেশ জৈন, উজ্জ্বলা পাওয়ার-সহ আরও আইনজীবীরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং বিচার প্রক্রিয়ার উপর যে আস্থা রয়েছে একাধিক পদক্ষেপে তা ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। আইনজীবীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগের স্বর্নযুগ শেষ হয়েছে, বর্তমানে তা দুর্বল থেকে দুর্বলতর এমনই প্রচার করছে ওই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, অভিযোগ আইনজীবীদের। এই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যই হল আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই গোষ্ঠী নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা-কৌশল অনুযায়ী বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তগুলির তীব্র নিন্দা কিংবা প্রশংসা করছে।
আরও পড়ুন- বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জের ৩৫০ ঘণ্টা পার! তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা এবং পরে আদালতে তাদের হয়েই লড়াই করার মতো উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। আদালতে নিয়োগে প্রভাবিত করার চেষ্টারও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, কৌশলগতভাবে নির্বাচনের ঠিক আগেই এই প্রচেষ্টাগুলি করা হয়। ২০১৮-১৯ সালেও এমন করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন তারা। বিচারব্যবস্থার উপরে এই ধরনের আক্রমণ রুখতে সুপ্রিম কোর্টকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বার কাউন্সিলের সদস্যদের তরফে।
এই মুহূর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নির্বাচনী বন্ড, কমিশনার নিয়োগ-সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলাগুলি আসন্ন লোকসভা ভোটের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে সম্পর্কিত। এই আবহে শয়ে শয়ে আইনজীবীদের প্রধান বিচারপতিকে (CJI Chandrachud) চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।