প্রতিবেদন : সোমবার কালীপুজোর (Kali puja) রাতে আলোর উৎসবে মেতেছিল কলকাতার মানুষ। কালীপুজো ও দীপাবলির এই মরশুমে শব্দবাজি ফাটানোর বিষয়ে আগে থেকেই কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছিল, নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ! তা সত্ত্বেও কালীপুজোয় (Kali puja) রাতভর শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটল। আর নিয়ম ভেঙে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হলেন শতাধিক। পুলিশ সূত্রে খবর, একরাতে শহর কলকাতায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৬৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৮৫১ কেজি নিষিদ্ধ বাজিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। একরাতেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ৭০ লিটার চোরাই মদ।
আরও পড়ুন- বড়মার মন্দিরে পুজো দিলেন অভিষেক, করলেন জনসংযোগ
এদিকে, দেদার বাজি ফাটানোর পরও বাতাসের গুণগত মানের দিক থেকে কলকাতার বাতাস টেক্কা দিল অন্যান্য মেট্রো-শহরগুলিকে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় বাতাসের গুণমান ‘সহনীয়’। শুধুমাত্র ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একিউআই ২৩৯, যা গুণগত মানের দিক থেকে ‘খারাপ’। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লির বাতাসে বিষের পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। কালীপুজোর রাতে আতশবাজির তাণ্ডবে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মান সার্বিকভাবে ৩০০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রেড রোডে পুলিশ স্মৃতিসৌধে ‘শহিদ স্মৃতি দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার কলকাতায় শব্দ ও বায়ুদূষণ দুটোই অনেক কম। দেশের অন্য বড় শহরগুলির তুলনাতেও কলকাতার দূষণ অনেক কম। বিকেল ৬টা পর্যন্ত দূষণের মাত্রা নিয়মিতভাবে দেখা হয়েছে। শহরের শব্দও ৯০ ডেসিবলের মধ্যেই ছিল। রাত ১০টা বা ১২টার রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে, পরিস্থিতি মোটের উপর ভাল ছিল।
এদিকে, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে ৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কসবা, সল্টলেক, শিয়ালদহ, ভবানীপুর ও বালিগঞ্জ থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। পুলিশের কাছেও শব্দবাজি নিয়ে শতাধিক অভিযোগ এসেছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে ১৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও, আচরণবিধিভঙ্গের অভিযোগে ধৃত মোট ৪৫১। জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ৬ জন। সবমিলিয়ে গ্রেফতার ৬৪০।