মঙ্গলবার ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার ৬৫ বছরের প্রেমিকাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার প্রস্তাব দিলে, তিনি অস্বীকার করায় শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) কৌশাম্বী জেলার সরাই আকিল থানার অন্তর্গত বারাই গ্রামের বাসিন্দা সাওয়ারী দেবীকে (৬৫) ২৫শে মে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের তরফে খবর, তাঁর গলায় কাপড় বাঁধা ছিল এবং পোশাক এলোমেলো ছিল। পুলিশি তদন্তের পর, মঙ্গলবার একই গ্রামের দীনেশ কুমার সেনকে বসুহার মোড়ের কাছে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন-বিনোদন পার্কে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! ৫০ ফুট উঁচুতে ঝুলে আতঙ্কিত যাত্রীরা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় দীনেশ অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছে যে সাওয়ারী দেবীর কোনও সন্তান ছিল না এবং বিয়ের মাত্র ৬-৭ বছর পরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। তিনি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তিতে একটি আলাদা বাড়িতে একা থাকতেন। দীনেশ তাঁকে দুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন। সময়ের সাথে সাথে দুজনের মধ্যে প্রেম এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীনেশ পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি এবং সাওয়ারী দেবী প্রায়শই রাতে ফোনে কথা বলতেন এবং মাঝে মাঝে তিনি গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে যেতেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩শে মে রাত ১০টার দিকে, ফোনে কথা বলার পর, তিনি তাঁর বাড়িতে যান এবং যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাওয়ারী দেবী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সাওয়ারী দেবী অজুহাত দেখাচ্ছেন ভেবে দীনেশ তার উপর জোর করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মহিলা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে তিনি খুন করেন মহিলাকে।
এরপরে গ্রেফতারের ভয়ে দীনেশ তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে তার বাড়ির কাছে একটি ড্রেনে ফেলে দেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, পুলিশ সাওয়ারী দেবীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে, দীনেশকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায় যোগীরাজ্যে ছাড় পাচ্ছেন না একা বয়স্ক মহিলাও। নারী সুরক্ষা নিয়ে গর্ব করা যোগীরাজ্যেই সবথেকে বেশি উঠে আসে নারী নিরাপত্তাহীনতার ছবি।