প্রতিবেদন : বাংলার বাড়ি প্রকল্পে গৃহহীনদের মাথার ওপর পাকা ছাদ দিতে বরাদ্দ হল প্রথম দফার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়দিনের আগেই সেই ‘উপহার’ তুলে দেবেন যোগ্য প্রার্থীদের অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা উপেক্ষা করে রাজ্য স্বাবলম্বী হয়ে নিজেই বাংলার বাড়ি দিচ্ছে গরিব মানুষদের। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে বরাদ্দের টাকা এসে গিয়েছে, তা ব্লকগুলিতে পাঠানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নের সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলার বাড়ির টাকা প্রদানের সূচনা করার পরই নিজেদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা।
প্রতি জেলা থেকে প্রতীকী দু’জন করে উপভোক্তাকে মুখ্যমন্ত্রী নিজ হাতে সুবিধা তুলে দেবেন। প্রথম ধাপে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাগুলির যোগ্যদের প্রাথমিক তালিকা চলে আসে। অ্যাপের মাধ্যমে সমীক্ষা শেষে প্রাথমিক তালিকা করা হয়। সেইমতো টাকা রিলিজ করা হয়। তালিকায় থাকা যে সকল উপভোক্তার আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের লিঙ্ক হয়নি, ব্যাঙ্কের সঙ্গে সমন্বয়ে সেই কাজও করছে ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের জেল ভেঙে পালাল কুখ্যাত জঙ্গিরা
একনজরে জেলার বরাদ্দ :
উত্তর ২৪ পরগনা- ৩৩৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার, বাঁকুড়া- ৪১০ কোটি ৭৯ লাখ, হুগলি- ২৯৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার, পশ্চিম বর্ধমান- ৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার, হাওড়া- ১৩৭ কোটি ৭৩ লাখ, মুর্শিদাবাদ- ৩২২ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার, নদিয়া-২৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর- ৬০৩ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার, পূর্ব বর্ধমান- ৪৭৫ কোটি ৯২ লাখ, কোচবিহার- ৬৮২ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার, উত্তর দিনাজপুর- ২৭৮ কোটি ৫২ লাখ, ঝাড়গ্রাম- ১২১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার, পুরুলিয়া- ২২১ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার, দার্জিলিং- ৩১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার, আলিপুরদুয়ার- ২৭৩ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার, দক্ষিণ দিনাজপুর- ১৫৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৮৬০ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, মালদা-১৭৮ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার, বীরভূম-৩১৫ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার, জলপাইগুড়ি- ১৯৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুর- ৩৩২ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার।