এজলাসে বিশৃঙ্খলা, ফের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত

Must read

প্রতিবেদন : হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোয় মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল কসবা-কাণ্ডের চার অভিযুক্তকে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ ধৃত প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জইব আহমেদ ও কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত কক্ষে হাজির করানোর আগেই আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল বাধে। দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ঝামেলার জেরে এজলাস থেকে উঠে বেরিয়ে যান বিচারকও। প্রায় ঘণ্টাখানেক হইহট্টগোলের শেষে শুনানিতে সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে তিন মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ, জইব ও প্রমিতকে ৭ দিন ও ধৃত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকীকে ৩ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, কসবা-কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাও। জানিয়েছেন, অত্যন্ত সেনসিটিভ কেস। তাই তদন্ত নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে অভিযোগ পাওয়ার দ্রুত এফআইআর হয়েছে। ওইদিনই ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। তারপর আরও এক। অনেক এভিডেন্স আমরা সংগ্রহ করেছি। তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে।
আলিপুর কোর্টে এদিনের শুনানিতে মূল অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদনই করেননি। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তে সহযোগিতার জন্যই তাঁরা জামিন চাইছেন না। তবে এদিন মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর তরফে আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করেন। স্পষ্ট বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র! এফআইআর পড়লে মনে হয় না গণধর্ষণ। আমার মক্কেল ধর্ষণ করেননি! পাল্টা নির্যাতিতার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন। উল্টোদিকে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, মেডিক্যাল এভিডেন্স, ডিজিটাল এভিডেন্স ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সব তথ্যপ্রমাণ মিলেও যাচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা আবার ঘটনাস্থলে যাব। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কসবা ল’ কলেজের ১৬ পড়ুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার, ধৃত মনোজিতের কল রেকর্ড বলছে, ঘটনার পরদিনই কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: নয়া রেকর্ড, জিএসটি আদায়ে জাতীয় গড়কেও টেক্কা বাংলার

Latest article