প্রতিবেদন : এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Odisha Accident) মৃত্যু হল ৭ জনের। মৃতরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বাংলার প্রশাসন। শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওড়িশার জাজপুর জেলার ধর্মশালায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, মৃতেরা সকলেই একটি মিনি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ভারী ট্রাক ওই মিনি ট্রাকটিতে ধাক্কা মারে। তাতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
জাজপুরের পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ৬ জন যাত্রীর ঘটনাস্থলেই (Odisha Accident) মৃত্যু হয়। একজন এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান। মৃতরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট-২ নম্বর ব্লকের মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়ার নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন। মৃতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। বাকিরা একই গ্রামের বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে আছেন সুরজ মণ্ডল (৪৪), মহম্মদ আমিরুল আলি সর্দার (২৬), করিম সর্দার (২৬), মহম্মদ আমজাদ আলি সর্দার (২৬), মহম্মদ আরিফ সর্দার (২৭), জাহাঙ্গির সর্দার (৩২), মোয়াজ্জেম সর্দার (৩২)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক কর্তারা ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মৃত শ্রমিকদের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দায়িত্ব দেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই মৃতদেহগুলি তাঁদের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে সবরকমের সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। জাজপুরের পুলিশ সুপার বলেছেন, শনিবার ভোরে রাস্তা ছিল কুয়াশায় ঢাকা। দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। সম্ভবত সেই কারণেই দুটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়েছে। মিনি ট্রাকটি শ্রমিকদের নিয়ে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর যাচ্ছিল। মৃতদের দেহগুলি বারচনা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি নিয়ে মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট