ঋণের দায়ে আত্মঘাতী একই পরিবারের ৭ সদস্য। হরিয়ানার পঞ্চকুলার ২৭ নম্বর সেক্টরে রাস্তার ধারে পার্ক করা গাড়ি থেকে ৬ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ আরও একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বলতে শোনা যায়, “আমিও বিষ খেয়েছি, আমিও মারা যাব। আমার পরিবারের অনেক ঋণ ছিল।” তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের সকলেই উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাত ১১তা নাগাদ ১১২ নম্বরে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানায়, ঘটনাটি তাঁর বাড়ির সামনেই ঘটেছে। তিনি বলেন, “প্রথমে তাদের গাড়ি দেখে জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা বলে যে বাবার প্রোগ্রামে এসেছে এবং কোনও হোটেল খুঁজে পাচ্ছে না। তাই তারা গাড়িতেই ঘুমোচ্ছিল। আমরা তাদের গাড়িটি অন্য জায়গায় দাঁড় করাতে বলেছিলাম। তারপরই তারা একে অপরের গায়ে বমি করতে শুরু করে। আমরা তাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে আনি।”
আরও পড়ুন- চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিকেল ৫টায় বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক: মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ মিত্তাল, তার বাবা দেশরাজ মিত্তাল স্ত্রী, মা, দুই মেয়ে ও ছেলে। প্রাথমিক তদন্তে খবর, দেরাদুন থেকে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চকুলার বাগেশ্বর ধামে আয়োজিত হনুমান কথা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রবীণ মিত্তাল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ফেরার পথে এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে বিষ মেশানো খাবার খায় তারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, মিত্তাল পরিবার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা শুরু করেছিল। কিন্তু তা লোকসানে চলছিল। প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণ ছিল মিত্তাল পরিবারের ঘাড়ে। যা পরিশোধের পথ খুঁজে না পেয়েই এই চরম সিদ্ধান্ত মিত্তাল পরিবারের।