একবার, দুবার নয়। বারবার, প্রতিবার প্রমাণিত বাংলার যে মানুষদের অবৈধভাবে আটক করে অত্যাচার করছে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলি, তা বেআইনি। আর সেই সব মিথ্যা ফাঁস হতেই বেআইনিভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা বাঙালিদের ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। সেই পথেই এবার ঘরে ফিরলেন হরিয়ানার গুরুগ্রামে আটক থাকা মালদার সাত শ্রমিক।
আধার কার্ড, ভোটার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও গুরুগ্রামে বাংলাভাষী সাত শ্রমিককে আটক করে হরিয়ানা পুলিশ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা শ্রমিকদের পরিবার সূত্রে খবর পেয়েই তৎপর হয় মালদহ জেলা পুলিশ। বাংলার বাসিন্দাদের নথি রাজ্য থেকে পাঠিয়ে চাপ দিতে সাত শ্রমিককে ছাড়তে বাধ্য হয় তারা।
আরও পড়ুন-বাংলায় নাম বাদ দিয়ে দেখুন দামামা বাজিয়ে দেব : নেত্রী
গোটা ঘটনা নিয়ে হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের ভাষা আন্দোলন মঞ্চ থেকে তাদের অত্যাচার নিয়ে সরব হন। সেই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন যেভাবে তৎপরতা নিয়ে সাত শ্রমিককে মুক্ত করেছে, তার প্রশংসা রাজ্যের শাসকদলের। রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম জানান, ভোটার কার্ড আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও অভিজিৎ দাস, প্রকাশ দাস-সহ সাত শ্রমিককে বেআইনিভাবে আটক করে হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিজেপির পুলিশ। তাদের বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করে বেআইনিভাবে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। রাজ্য প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসতেই তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন। প্রশাসনের চাপে পড়ে বিজেপির বাংলা-বিরোধী প্রচার শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। সঠিক নথি তুলে ধরতে মালদহ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।