প্রতিবেদন : সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে সাঁজোয়া যান এবং বিশেষ অস্ত্র পরিবহণকারী গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য। এই উদ্দেশ্যে ব্যারাকপুরে সশস্ত্র পুলিশের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলের দফতর থেকে ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে। রাজ্য সরকার মোট ১২টি লাইট আর্মড ভেহিকল কেনার পরিকল্পনা করেছে। এই সাঁজোয়া যানগুলির আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে বহনের জন্য দু’টি বিশেষ কন্টেনার বডি মাউন্টেড যান কেনার প্রস্তাব রয়েছে, যার জন্য খরচ হবে আরও প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় প্রায় ৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন-দক্ষ জনশক্তির অভাব ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব
পুলিশ সূত্রের খবর, সংবেদনশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বড় জনসমাবেশ, দুর্যোগ মোকাবিলা কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মোতায়েনের সময় সশস্ত্র পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই বাহিনীর কর্মীদের সুরক্ষা এবং দ্রুত চলাচলের সুবিধা বাড়াতে এই সাঁজোয়া যান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অস্ত্র পরিবহণের জন্য প্রস্তাবিত বিশেষ কন্টেনার বডি মাউন্টেড যানগুলি মূলত লজিস্টিক ব্যবস্থাকে আরও সুরক্ষিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে সাহায্য করবে বলে প্রশাসনের ধারণা। এই যানগুলিতে বন্ধ কন্টেনার থাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরিবহণের সময় ঝুঁকি কমবে এবং অস্ত্রের চলাচলের উপর নজরদারি আরও শক্ত করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কথায়, এই দুই যানক্রয়ের সিদ্ধান্ত সশস্ত্র পুলিশের দুই ভিন্ন কিন্তু পরস্পর পরিপূরক প্রয়োজন মেটাবে। একদিকে যেমন সাঁজোয়া যান পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তেমনই অস্ত্র পরিবহণকারী যানগুলি অস্ত্র ও সরঞ্জাম পরিবহণকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করবে। শুধু যান কেনাই নয়, এর সঙ্গে চালক ও প্রযুক্তিগত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের মধ্যেই সার্ভিসিং ও রক্ষণাবেক্ষণের নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও টেন্ডারে উল্লেখ রয়েছে। নতুন এই যানগুলি যুক্ত হলে সশস্ত্র পুলিশের প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই দ্রুত ও নিরাপদভাবে বদলে যাওয়া নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা আরও সহজ হবে।

