ছত্তিশগড়ে মাও-হামলা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, ৮ জওয়ান-সহ মৃত্যু ৯ জনের

Must read

প্রতিবেদন : শনিবার রাতে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ মাওবাদীকে খতম করেছিল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা আঘাত হানল নকশালপন্থীরা। মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি জওয়ানদের ভ্যান। ওই ভ্যানে ছিলেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। সর্বশেষ খবর, তাঁদের মধ্যে ৮ জওয়ান ও গাড়িচালক ঘটনাস্থলেই শহিদ হয়েছেন। সোমবার দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুরের কুটরু রোডের ঘটনা।

আরও পড়ুন- কথা রাখেনি কেন্দ্র, মুড়িগঙ্গায় সেতু করছে রাজ্য সরকারই: গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলা হবেই, কপিলমুনিতে প্রত্যয়ী মুখ্যমন্ত্রী

ঘটনার পর এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন, মাওবাদী দমনে বিরাট সাফল্য এসেছে। এমনকী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ মাওবাদীশূন্য হবে বলেও বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন তাঁরা। তবে সবটাই যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ফাঁকা বুলি এদিনের ঘটনা আরও একবার তা মনে করিয়ে দিল। ঘটনার পর ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফেরার সময় ডিআরজি জওয়ানদের গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় জঙ্গলের ভিতরের রাস্তায় বিরাট গর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। বস্তার জেলার পুলিশকর্তা জানান, দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর এবং বিজাপুরে একটি যৌথ অভিযান সেরে ফিরছিল ডিআরজি বাহিনী। সোমবার দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ আমবেলি গ্রামের কাছে ওই গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। গত দু বছরে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবন্দ জেলার কান্দেশ্বর গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল।

Latest article