বকেয়া ও বরাদ্দ আটকে, লাগাতার বঞ্চনা চালিয়েও বাংলাকে বাগে আনতে পারেনি জুমলাবাজ কেন্দ্রের সরকার। এবার তারা গায়ের জ্বালা মেটাচ্ছে বিজেপি-রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর ও মানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন ও বিতাড়ণের মাধ্যমে। বিজেপি যে কত বড় বাংলাবিদ্বেষী তা পরতে পরতে প্রমাণ মিলছে।
ফের বিজেপিশাসিত আর এক রাজ্যে ঘটল বাংলাভাষী বাঙালি শ্রমিকদের আটকের ঘটনা। এবার নদিয়ার শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটক করা হল ছত্তিশগড়ে। ধিক্কার বিজেপিকে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষে লেখা হয়েছে, ধিক্কার জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলছি আমরা। কতটা বাংলা ও বাঙালিদের ঘৃণা করলে আবারও ছত্তিশগড়ে নদিয়ার মথুরাপুরের ৮ শ্রমিককে বাংলা বলার অপরাধ আটক করা হয়!
এখানেই শেষ নয়, হরিয়ানায় কোচবিহারের এক যুবককে একই কারণে আটক করে রাখা হয়েছিল। শেষে রাজ্যের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই স্বৈরতন্ত্রের শেষ না দেখা পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে খাদে গাড়ি! মৃত ৫, জখম একাধিক
অপরাধ কী? ভিনরাজ্যে বিল্ডিং নির্মাণের কাজে গিয়ে শ্রমিকরা বাংলায় কথা বলেছিলেন। সেই অভিযোগে ছত্তিশগড়ে কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে ৮ শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারকে কিছু না জানিয়েই তাঁদের আটকে রাখা হয়। জানানো হয়নি রাজ্যকেও। এতটাই অমানবিক যে, প্রত্যেক শ্রমিকের ফোন সুইচড অফ করে দেওয়া হয়। বাংলা বলার ‘অপরাধে’ কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড়বালাসীর বাসিন্দা সিরোজ আলম মিঞাকে আটক করে পুলিশ। গুরগাঁওয়ের একটি হোটেলে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। খবর পাওয়া মাত্রই তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ ও মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সিরোজ আলমকে যেভাবে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানা পুলিশ হয়রানি করেছে তা বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের জলন্ত উদাহরণ। এভাবেই বাংলার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে চলছে বিজেপি। এর আগে দিনহাটায় সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা দিল্লিতে দিনমজুরের কাজে গেলে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন৷ বাংলাদেশি সন্দেহে বিজেপির রাজ্যে রাজ্যে এই খেলা শুরু হয়েছে বাংলার বিরুদ্ধে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে।