সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : বাংলার গরিব মানুষদের জন্য আবাস যোজনার প্রাপ্য বরাদ্দের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। তবে এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না এলে আগামী ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই উপভোক্তাদের গৃহনির্মাণের জন্য প্রাপ্য বরাদ্দ দিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু অসহায় মহিলাদের গৃহনির্মাণ খাতে অর্থ মঞ্জুর করেছে। বর্তমান অর্থবর্ষে মুশিদাবাদ জেলায় প্রায় ৬৬০০ সংখ্যালঘু অসহায় মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের ঘর পেতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-মরণফাঁদ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, ক্ষোভ
তবে এই প্রকল্পে যাতে কোথাও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে সেই কারণে প্রথম থেকেই সজাগ শাসক দল তৃণমূল। নবান্ন থেকে এই প্রকল্পের অর্থ মঞ্জুর হওয়ার পরই প্রকৃত উপভোক্তারা যাতে এই প্রকল্পের টাকা পান তা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না বা অতিগরিব মহিলারা গৃহনির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে টাকা পাওয়ার যোগ্য। এ জন্য রাজ্যের তরফে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অর্থসাহায্যের পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৯০ দিন কাজের হিসাবে প্রায় ১৯ হাজার টাকা গৃহনির্মাণ খাতে বরাদ্দ করা হয়। গৃহনির্মাণের জন্য উপভোক্তার নিজস্ব জমি থাকা জরুরি। রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে এই প্রকল্পে এবছর ৮৯ জন ঘর পেতে চলেছেন। এর মধ্যে বিধায়কের ৪০, বিডিওর ৪৫ এবং সাংসদের ৪টি করে ‘কোটা’ রয়েছে। এই প্রকল্পে যাতে প্রকৃত উপভোক্তারাই ঘর পান সে বিষয়ে উদ্যোগী জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। নিমতিতা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিজের স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা অনেকটা হারালেও টোটো এবং বাইকে চেপে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কানুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান বিধায়ক জাকির। সঙ্গে ছিলেন রঘুনাথগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানোয়ারা খাতুন, রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের সভাপতি গৌতম ঘোষ, কানুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেহের আলি ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন নিজে এবং তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন।