সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: কয়েকদিন ধরেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলছে উত্তের জেলাগুলিতে। বুধবার রাতের ঝড়ে লন্ডভন্ড হল ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ঝড়ে মালবাজার মেটেলি, নাগরাকাটা-সহ অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। বহু চা-গাছ উপড়ে গিয়েছে। মাল ব্লক আধিকারিক শুভজিৎ দাশগুপ্ত জানান ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করা হচ্ছে। সেই ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় কালিম্পং, দার্জিলিঙে।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে ফের এনকাউন্টার, মৃত্যু গ্যাংস্টার অনিল দুজানার
দার্জিলিং জেলার রংলি রংলিওট ব্লকে ঝড়ের কারণে একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। কার্শিয়াং মহকুমার বামনপখরি বন বিভাগের বন বস্তিতে ৯টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে গিয়েছে। দুর্যোগে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। চালসা- মেটেলি রাজ্য সড়কে বহু গাছ পড়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে মেটেলি রাষ্ট্রভাষা উচ্চ বিদ্যালয়-এর সীমানা প্রাচীর ভেঙে যায়, ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলতে থাকে পাশাপাশি স্কুলের গাছপালাগুলি উপড়ে গিয়ে বেশ ক্ষতি হয়। ইনডং চা-বাগানের বহু গাছ উপড়ে পড়ে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের পোলও উপড়ে পড়ে যায়। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-পুলিশের হাতে ধর্ষিতা তরুণী
বৃহস্পতিবার মেটেলি থানার পুলিশ-সহ স্থানীয় জনগণ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সড়কের উপরে থাকা গাছ কেটে যান-চলাচল স্বাভাবিক করে। সকাল ৯টা নাগাদ সড়কে যান-চলাচল স্বাভাবিক হয়। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে মাল ব্লকেও ঝড়ের তাণ্ডবে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিপর্যস্ত ডামডিম যোগেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় বুধবার গভীর রাতে ঝড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দার টিনের চাল উড়ে দূরে পড়ে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন হয়। এ-ছাড়া ডামডিম এলাকার ডামডিম চা-বাগানের প্রচুর চারাগাছ উপড়ে পড়েছে। বহু শ্রমিক আবাসের চাল উড়ে চলে গিয়েছে।