মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এমএসএমই-তে এগিয়ে বাংলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে ৯০ লক্ষ এমএসএমই (MSME)। সেই এমএসএমইগুলিতে (MSME) কর্মসংস্থান হয়েছে ১.৪ কোটিরও বেশি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই সেক্টরে মহিলা উদ্যোক্তার সংখ্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের আরও উৎসাহী করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় ‘শিল্পের সমাধান’ শিবির করা হবে। ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সেই ‘শিল্পের সমাধান’ শিবির।
আরও পড়ুন- বাংলায় বার্ষিক ৭০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্প, বাড়বে কর্মসংস্থান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে রাজ্য শিল্প-বান্ধব হয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকার এমএসএমই সেক্টরকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এই ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে জেলায় জেলায় শিবিরের পরিকল্পনা। এই শিবিরে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করা হবে। শিল্প সচেতন করে তুলতে বিশেষ করে পাঠ দেওয়া হবে মহিলাদের। বাংলায় মহিলা উদ্যোগপতির সংখ্যা দেশের মধ্যে সেরা। স্বনির্ভর করে তুলতে আরও বেশি করে এই ক্ষেত্রে মহিলাদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে সরকার। নিবিড় কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী হিসেবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহিত করাই রাজ্যের লক্ষ্য। গ্রামীণ এলাকাগুলি তো বটেই পাশাপাশি পুর এলাকাগুলিতেও শিল্পের সমাধান শিবির খোলা হবে। ২ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শিবির। শিবিরগুলি সফল করতে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী হতে বেকার ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতেই এই প্রচার।
বেকারদের ব্যবসায় উৎসাহিত করতে রাজ্য ইতিমধ্যেই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবসার জন্য ঋণ নিলে রাজ্য সুদে ভর্তুকি দেয়। এমন আর কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই ক্ষেত্রে, তা শিল্পের সমাধান শিবিরে আলোচনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যাঙ্ক ঋণ থেকে বিভিন্ন সরকারি ছাড়পত্র নিয়েও যাতে কোনও হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেই ব্যাপারেও গাইড করা হবে শিবির থেকে।