প্রতিবেদন : কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা-ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে রাত্তিরের সাথী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। ওই প্রকল্পের আওতায় সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ নিরাপত্তা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজের সিংহভাগই শেষ হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। আগামী তিনদিনের মধ্যে ওই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিন ফের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন মুখ্যসচিব। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব জানান, ‘রাত্তিরের সাথী’ নিয়ে এদিন আরও একবার পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যসচিবও ছিলেন। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম তৈরির কাজ ৬৫ শতাংশ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি (Manoj Pant)। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বাটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে।
আরও পড়ুন- বীরভূমের কয়লাখনি দুর্ঘটনা: মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য-চাকরি ঘোষণা রাজ্যের
সম্প্রতি রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের টিম গঠন করেছে নবান্নে। অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের ডিজি তথা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে মাথায় রেখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দলে রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি ছাড়াও রয়েছেন কর্নেল এন পাল সিং, জয় বিশ্বাস, তাপস মাইতি, পুষ্পা, সৌম্য ভট্টাচার্য ও খলিদ কাইজার।
গত মাসে আবার ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী পরিষেবা থেকে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এই মুহূর্তে ঠিক কোন পর্যায়ে, কতটা এগিয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কাজ? এসব একাধিক বিষয় নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা-ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশও যেমন সেখানে রয়েছে তেমনি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরির নির্দেশ-সহ একাধিক গাইডলাইনস দিয়েছে নবান্ন। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে আগামী দু’মাসের মধ্যে নবান্নে রিপোর্ট জমা দেবে তদন্তকারী দল।