মজুত বাড়াতে রাজ্যে আরও ৯১৭টি নয়া হিমঘর পেঁয়াজের

আর পেঁয়াজের জন্য আর ভিন রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না রাজ্য। বাংলার পেঁয়াজের চাহিদা এবার বাংলাতেই মিটবে। কমবে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরতা।

Must read

প্রতিবেদন : আর পেঁয়াজের জন্য আর ভিন রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না রাজ্য। বাংলার পেঁয়াজের চাহিদা এবার বাংলাতেই মিটবে। কমবে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরতা। মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে পেঁয়াজের দামও। উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত করার জন্য রাজ্যে তৈরি হবে আরও ৯১৭টি পেঁয়াজের কোল্ড স্টোরেজ। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহের মতো দশটি জেলায় তৈরি হবে এই স্টোরেজগুলি। ইতিমধ্যেই এজন্য সাড়ে ৭৫০-এরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর। এর জন্য উদ্যোগীদের বিশেষ অনুদান দিতে রাজ্য সরকারের তরফে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-পর্যাপ্ত বৃষ্টি অগাস্টে, ৪১ লক্ষ একর জমিতেই ধান রোপণ

মাসখানেক আগে লোকসভা ভোটের শেষে বাংলার বাজারে আকাশ ছুঁয়েছিল আলু-পেঁয়াজের দাম। মাথায় হাত পড়েছিল মধ্যবিত্তের। অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি আলু-পেঁয়াজ কিনতে গেলেই সাধারণ মানুষের পকেট নিমেষে ফাঁকা হত। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাজার পরিদর্শন করে দফায় দফায় আলু-পেঁয়াজের গুদাম মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তারপর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে আলু ও পেঁয়াজের বাজারদর। রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে রাখতে চেয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে প্রশাসন। তার মধ্যে অন্যতম হল পেঁয়াজের এই কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ। উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত করে রাখার জন্য রাজ্যের দশটি জেলায় তৈরি হবে মোট ৯১৭টি পেঁয়াজ গোলা। ইতিমধ্যেই জেলা স্তরের সংশ্লিষ্ট কমিটি ৪০০টি স্টোরেজ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গোলাগুলি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যে ছয় থেকে নয় ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ৪ হাজার পেঁয়াজের কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে।

Latest article