প্রতিবেদন : বাংলাদেশ থেকে ফেরা মৎস্যজীবীদের গঙ্গাসাগরে স্বাগত জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার পরিদর্শনে যাবেন সোমবার। ওইদিনই তিনি গঙ্গাসাগরে কথা বলবেন বাংলাদেশ থেকে ফেরা ৯৫ জন মৎস্যজীবীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ঘরে ফিরছেন।
আরও পড়ুন-তিনমাসে ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে জলসীমায় ঢুকে পড়া ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের ফেরাতে কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান অবিলম্বে বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আবেদনের পর বাংলাদেশে আটক ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফেরানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভারতে আটক ৯০ জন মৎস্যজীবীকেও বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রবিবার হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জল সীমানায়। দু’দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী পরস্পরকে হস্তান্তর করবে। শনিবারই কাকদ্বীপ থেকে আটক ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হলদিয়া বন্দরে আনা হয়েছে। বাকি ৭৮ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে হলদিয়া আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সোমবার গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
এই ৯০ জনকে হস্তান্তর করা হবে ভারতের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে মুক্ত ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে। পরদিন অর্থাৎ সোমবার ওই ৯৫ মৎস্যজীবীকে গঙ্গাসাগরে আনা হবে। তাঁদের স্বাগত জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। গঙ্গাসাগরে মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ফেরা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কাকদ্বীপ সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবী সকল পরিবার। মূলত তাঁর উদ্যোগেই বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্ত হয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন মৎস্যজীবীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অভর্থনা জানাতে দায়িত্ব দিয়েছেন দুই মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও মন্টুরাম পাখিরাকে।