প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে এগিয়ে চলেছে বাংলা। রাজ্যে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর (Self-help groups) সংখ্য়া বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের আর্থিক ক্ষমতায়নে নতুন নজির গড়েছে বাংলার সরকার। ৬ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি গোষ্ঠীকে ৯৬৮ কোটি টাকার বেশি তহবিল বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ব্য়াঙ্ক ঋণ বাবদ ১৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self-help groups) সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে জানিয়েছে, দেশের হয়ে সর্বাধিক ১২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলা থেকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্যের খতিয়ানে এক কথায় নজির গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ও কার্যকারিতায় দেশের মধ্যে দখল করেছে শীর্ষস্থান। পরিসংখ্যান ও তথ্য অনুযায়ী ডব্লুবিএসআরএলএমের অধীনে তৈরি হয়েছে ১১.৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ১.২ কোটি মহিলা সেইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে কর্মরত। শুধু এই সংখ্যার বিচারই শ্রেষ্ঠত্বের আসন অর্জন করেনি বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কার্যকারিতাতেও এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে রিভলভিং ফান্ড ১৬৮.৯৪ কোটি টাকা। সেই টাকা বিতরণ করা হয়েছে মোট ৬,৪৫,৯৬০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। এছাড়াও কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অর্থাৎ সিআইএফ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ২,৯০১.৬৩ কোটি টাকা। তা প্রদান করা হয়েছে ২,৭১,১৫২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। ব্যাঙ্ক ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১৩,৯৪৫.৯৬ কোটি টাকার। এখন পর্যন্ত ৬,৬৫,০৩৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। জাগো স্কিমে ৫,০০০ টাকার নিঃশর্ত আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন ১ কোটি মহিলা।
আরও পড়ুন- যাদবপুরের সমাবর্তন অনৈতিক নয়, রাজভবনকে কড়া বার্তা ব্রাত্য বসুর
এখানেই শেষ নয়, ইউনিফর্ম ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে। রাজ্যে মোট ৫১,৯০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ২ সেট করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করেছে। ৮৩,০৩৯টি স্কুলের ১.১৬ কোটি ছাত্র-ছাত্রী পেয়েছে সেই ইউনিফর্ম। আইসিডিএস প্রকল্পে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য ৩১২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫০টি খাদ্য ছায়া ইউনিট। এছাড়া বিক্রয় কৌশলেও বাংলা রেকর্ড গড়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য চালু করা হয়েছে সৃষ্টিশ্রী প্রকল্প। পণ্য বিক্রয়ের জন্য ১৬টি জেলায় ‘সৃষ্টিশ্রী’ আউটলেট স্থাপন করা হয়েছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার সহায়ক প্রকল্প’-এর অধীনে ১,০০,৬৫৯টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। ‘স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে কর্মসংস্থান বাড়বে। ২২টি জেলাস্তরীয় এবং ১টি রাজ্যস্তরীয় মেলা সংগঠিত হচ্ছে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৪ কোটি টাকা। এভাবেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ও কার্যকারিতায় অন্যান্য রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে বাংলা এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের শিখরে।