প্রতিবেদন : সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই শিল্পাঞ্চল এলাকার বন্ধ কলকারখানার জমিতে নতুন শিল্প স্থাপনের গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে রাজ্য সরকার। গত বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছিলেন সেখানে ডাক পেয়েছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা। সেখানেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান, আসানসোল দুর্গাপুরে বন্ধ শিল্পের জমি ব্যবহারে উদ্যোগী হোক রাজ্য।
আরও পড়ুন-হরিয়ানায় নিট কেলেঙ্কারির নেপথ্যে বিজেপির যুবনেতা
ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রস্তাবে খুশি হয়ে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন জিতেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিল্পাঞ্চল নিয়ে বিশেষ ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই পানাগড় শিল্পতালুকে পা রেখেছিলেন মমতা। সেখানের এক বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করে কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর পানাগড় ও অণ্ডালে একাধিক শিল্প গড়ে উঠে। তারপরই শিল্পাঞ্চল জুড়ে চর্চা ছিল, বন্ধ কারখানার জমিতে নতুন শিল্পদ্যোগ আনতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। বস্তুত আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবি, বন্ধকলকারখানার জমিতে নতুন শিল্প গড়ে উঠুক। তাতে এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে। এখন শিল্পাঞ্চলের রায় তৃণমূলের পক্ষে আসায় মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। এখন আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বহু বন্ধ কলকারখানাগুলি থেকে একদিকে যেমন রাতের আঁধারে লোহা কাটিং হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে, তেমনি বন্ধ কারখানার জমি দখল করে অসাধু ব্যবসা হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে জমির চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে সেখানে প্রোমোটারিও হচ্ছে। এইসব রোখাই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।