প্রতিবেদন : বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে জলদাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো (Hollong bungalow)। মঙ্গলবার রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই বাংলো। ডুয়ার্সের জঙ্গলের এমন এক ঐতিহ্যবাহী সম্পদ এক লহমায় ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ রাজ্যের পর্যটকদের। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলেই মনে করছে বন দফতর। তবে পর্যটকদের জন্য ওই বনবাংলো বন্ধ থাকার দরুন খালি বাংলোতে (Hollong bungalow) কীভাবে শর্ট সার্কিট হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এই নিয়ে বন দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। বুধবার বিকেলে এই ঘটনা নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্তে আলিপুরদুয়ারে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি বিশেষ দল পাঠানো হচ্ছে। তারপর নবান্নকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বীরবাহা।
আরও পড়ুন- হেরেও বিজেপির বঞ্চনার রাজনীতি: সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ, চিঠি
এদিকে, বুধবার সকালে জলদাপাড়া আসেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জে ভি। তাঁর সঙ্গে হলং বাংলোতে যান জলদাপাড়ার ডিএফও প্রভিন কাসোয়ান। পুড়ে যাওয়া বনবাংলো পরিদর্শন করেন তাঁরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভাস্কর জে ভি জানান, সমস্ত দিক মাথায় রেখেই তদন্ত করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আমরা তদন্তের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারের মতামত নেব। পাশাপাশি পুলিশের সহায়তাও নেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ভস্মীভূত বাংলোতে ফরেন্সিক দল কাজ শুরু করেছে।