বলিউডের প্রমিসিং অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে একবার এক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনকে পিরিয়ড নিয়ে তাঁর স্কুলজীবনের এক অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন, ‘তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। স্কুলের স্পোর্টস টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম। একবার একটি মেডেল জিতেছিলাম। ভিকট্রি স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাকিদের সঙ্গে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম কখন আমার নাম ডাকা হবে। সেই সময় বন্ধুরাই আমাদের ইশারা করে বলল আমার সাদা স্কার্ট পুরোপুরি রক্তের দাগে ভিজে গিয়েছে। ওয়াশরুমে দৌড়লাম। লজ্জায়, সংকোচে এরপর দীর্ঘক্ষণ সেখানেই লুকিয়ে ছিলাম। ওদিকে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে আমার নাম ডাকা হচ্ছিল, বাথরুম থেকেও সেই ডাক আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু পিরিয়ডসে স্কার্ট ভিজে গিয়েছিল বলে সেই ট্রফি নিতে যেতে পারিনি। এই ঘটনাটি আমি আজও ভুলতে পারিনি। খুব কষ্ট হয়েছিল। খুবই লজ্জা পাই যখনই মনে পড়ে সেই কথা।’ সত্যি! অতি-আধুনিকা থেকে গঞ্জ-গাঁয়ের অক্ষরজ্ঞানহীন মহিলা— এই একটা জায়গায় সবাই এক।
আরও পড়ুন-ভাঙা হবে শহরের বেআইনি রুফটপ ক্যাফে-রেস্তোরাঁ
আমার শরীর খারাপ হয়েছে। পিরিয়ড বলতে নেই যে। তাই আমার দৌড়াদৌড়ি মানা, বেশিক্ষণ বসে থাকা মানা, বেশি হাঁটাচলাও মানা, নতুন জামা ভাঙা মানা, পায়েসের হাঁড়ি ছোঁয়া মানা, ঠাকুরঘরে যাওয়া মানা। এটা শরীর খারাপ বইকি! এটা অসুখ, যে অসুখে অচ্ছুত, অশুচি হয় মেয়েরা। তাই এই শরীরটা খারাপ হলে শুধু বিশ্রামেই নয়, একঘরে হয়েও থাকতে হয় তাঁদের।
বলিহারি আধুনিকারা! শরীর খারাপ শব্দটা কানে শুনলেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় তাঁদের! উচ্চশিক্ষিতা, নারীবাদ নিয়ে সারাক্ষণ হইহল্লা করা মহিলারাও সর্বসমক্ষে ও-কথা মুখে আনতে সাহস করেন না। পেটে বিদ্যে থাকলেই সব কিছু নস্যাৎ করে দিতে হবে এ আবার কেমন কথা! সংস্কার বলে তো একটা কিছু আছে নাকি! সেই সংস্কারে জগদ্দল পাথরের তলায় চুপটি করে বাধ্য মেয়ে হয়ে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-আজ জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা
২০১৯ সালে ‘পিরিয়ড। এন্ড অফ সেনটেন্স’ ছবিটা যখন সেরা তথ্যচিত্রের জন্য অস্কার পেয়েছিল তখন সেটা নিয়ে মাতামাতির শেষ ছিল না এদেশে। ভারতীয় মহিলাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়ে তথ্যচিত্র করে অস্কার পেয়েছিলেন ‘রেকা জেতাবচি’। তিনি ভারতীয় নন, ইরানিয়ান আমেরিকান মহিলা। বিষয়টা কী অদ্ভুত না! ভারতের মহিলাদের এমন একটা বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র করলেন একজন বিদেশিনি! এতে আমাদের সম্মান কিছু বাড়েনি বরং ভারতীয় সমাজ তথা এখানকার মেয়েরা কতটা গভীর অশিক্ষা, অন্ধত্ব ও কুসংস্কারে ডুবে রয়েছেন সেটাই এক লহমায় উঠে এসছিল সেদিন জগতের সামনে।
আমরা কেতাদুরস্ত, কেরিয়ারিস্ট, দশভুজা, ঘরে বাইরে চোস্ত, স্বামী-পুত্রটি আমার হাতের মুঠোয় অথচ মেনস্ট্রুয়েশন হলে সব জলে। তখন আমরা বাবা আদমের জমানার অবগুণ্ঠনবতী। কচ্ছপের মতো খোলসে ঢুকে সংস্কারের বুলি আউড়ে মুখে কুলুপ এঁটে ফেলি। আসলে যুগে যুগে এটাই ভারতীয় মহিলাদের চিত্র। শাড়ি ক্রমশ ছোট হতে হতে মিনিস্কার্টে দাঁড়িয়েছে কিন্তু শরীর খারাপ সেই মান্ধাতার আমলেই রয়ে গেছে। দোকানে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গেলে ফিসফিসিয়ে দোকানিকে বলতে হয় কোম্পানির নামটা। তিনি তখন সেটা একটা কালো প্যাকেটে মুড়ে মেয়েটির হাতে চালান করে দেন সেই প্যাকেটটি। আশপাশে লোকজন থাকলে তো কথাই নেই। তাঁরা যত আড়চোখে চায় আর মেয়েটি ততই লজ্জায় কুঁকড়ে যায়। সবকিছুর বিরুদ্ধেই আজকাল প্রতিবাদে সরব নারীবাদীরা কিন্তু মেয়েদের এই স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াটিকে নিয়ে খুব কম বাক্যই খরচ করেন তাঁরা। কারণ ভারতের মতো অন্ধ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন দেশে এমন এক সেনসিটিভ বিষয় শুধু বিতর্কই বাড়ায়, এখানে নারীবাদ ধোপে টিকবে না সেটা তাঁদের জানা।
অথচ এই বিতর্ক অনায়াসে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন একজন পুরুষ। আজকের আধুনিক দুনিয়ার মজ্জায় মজ্জায় যে অন্যায় সংস্কার দানা বেঁধে রয়েছে তারই বাস্তব চেহারাটা খুলে দিয়েছিলেন ‘প্যাডম্যান’ অরুণাচলম মুরুগনন্তম। বাড়ি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। ২০০৪ সালে বিয়ের পর আবিষ্কার করেন, বউ ঋতুস্রাবের সময় ময়লা কাপড় ও কাগজ জড়ো করছেন। তখনই তাঁর মাথায় ঢোকে যে এই অস্বাস্থ্যকর জিনিসটা বন্ধ করতে হবে। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি স্যানিটারি প্যাড তৈরির যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যা খুব কম খরচে স্বাস্থ্যকর প্যাড তৈরি করতে পারে। এ-নিয়ে তাঁকে কম ছিঃ-ছিক্কার শুনতে হয়নি। মেয়েদের সমস্যায় পুরুষ কেন? এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। প্রথমদিকে তাঁর স্ত্রী, বোনেরও সমর্থন পাননি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। কম খরচায়, বৈজ্ঞানিক ভাবে প্যাড তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এবং অবশেষে সফলও হয়েছেন। তাঁর প্যাড তৈরির যন্ত্রের খরচও বেশ কম। এখন অবধি ২৩টি রাজ্যে এই মেশিন বসানো হয়েছে। তাঁর অনুপ্রেরণায় উৎসাহী হয়ে আরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী এই ব্যবসায় এসেছেন।
আরও পড়ুন-শুরুতেই বোঝা যাচ্ছে কী হতে চলেছে…
এই ‘প্যাডম্যান’কে নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র শোরগোল ফেলেছিল। একজন পুরুষ যিনি মেয়েদের ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন’-এর জন্য লড়েছিলেন। গ্রামগঞ্জে যেখানে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার নিয়ে কোনও সচেতনতাই ছিল না সেখানকার মানসিকতাকে বদলানোর চেষ্টা করেছিলেন। দেখিয়েছিলেন ঋতুস্রাব লুকিয়ে রাখার নয়, এতে লজ্জার কিছু নেই। ছবির অভিনেতা অক্ষয়কুমার নিজে খুব দুঃখের সঙ্গে একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘অনেক পুরুষ তাঁদের বাড়ির মেয়েদের এই সিনেমাটি দেখতে যেতে দিচ্ছেন না!’’ ঋতুস্রাবের কৌলীন্য, আড়াল-আবডাল এক ধাক্কায় ভেঙে দিতে নারাজ ছিলেন বহু পুরুষ এমনকী নারীরাও। তাই প্যাডম্যান দেখার অনুমতি মেলেনি বহু মেয়েরই।
আরও পড়ুন-নেতৃত্বে কাকলি, শুরু ২১-এর প্রস্তুতি
আসলে স্যানিটারি ন্যাপকিন তো নয় যেন এক অ্যাটম বোমা। পিরিয়ড প্রজননের, সৃষ্টির আকর হলেও তা কষ্টেরও, আবার সমস্যারও। কারও অনিয়মিত পিরিয়ড হয়, তো কারও পলিসিস্টিক ওভারি। আর এই পিসিওডির ওষুধ হল মূলত কনট্রাসেপটিভ পিল। কন্ট্রাসেপটিভ কেন? আসলে গর্ভনিরোধক বড়ি শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ফ্ল্যাকচুয়েশন অর্থাৎ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেয়েদের শরীরে দরকচা মেরে যাওয়া ডিম্বাণুগুলো বাইরে বেরিয়ে ইউটেরাসের দেওয়ালে জমতে শুরু করে এবং সিস্টের আকার নেয়। তাই কনট্রাসেপটিভ পিলই একমাত্র তা রুখতে পারে। অথচ অর্ধেক কেমিস্ট সেটা জানেনই না এবং কোনও আইবুড়ো মেয়ে কনট্রাসেপটিভ পিল চাইছেন শুনলেই তাঁদের চোখ কপালে ওঠে। মনে হয় যেন তিনি ভয়ঙ্কর এক আতঙ্কবাদীকে দেখছেন!
এই হচ্ছে আমাদের শহুরে পুরুষদের হাল তা হলে একবার ভাবুন মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া— কিংবা উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্র, রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের কী হাল? তাদের মানসিকতা কী? ‘প্যাডম্যান’ অরুণাচলম মুরুগানন্থমের প্রবল লড়াই সেই জ্বলন্ত সাক্ষ্য। একজন পুরুষ মেয়েদের ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন’-এর জন্য লড়ে যাচ্ছেন, অথচ মেয়েরাই তাঁকে গালিগালাজ করেছে সবচেয়ে বেশি! ‘পিরিয়ড’ মানেই তারা জানে না— মেনস্ট্রুয়াল হাইজিনের তো নিকুচি করেছে। যেখানে মেয়েরা নিজেরাই জানে না যে এই রক্তপাত আসলে একটি পবিত্রতম সৃষ্টির সূত্রপাত। সেখানে তা দাসত্ব ছাড়া আর কী! তাই মুখ খুলতে হবে মেয়েদেরই, ভাঙতে হবে সোশ্যাল ট্যাবু। খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে। বয়ঃসন্ধির অনেক মেয়েকেই পিরিয়ড নিয়ে নানান তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়, খোরাক হতে হয়। এটাই আসলে আমাদের সমাজের সর্বস্তরের মেয়েদের চিত্র। কিন্তু এই লজ্জামুক্তি দায়িত্ব কার? অবশ্যই বাবা-মা, স্কুল এবং সমাজেরই। তাঁদেরই উচিত একযোগে চেষ্টা চালানো মেয়েদের মন থেকে ভীতিটাকে দূর করা।
এই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ঋতুস্রাব নিয়ে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে, মেয়েদের মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সম্পর্কে সচেতন করতে, এই সময়ের শারীরিক, মানসিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার দৃঢ়তা জোগাতে এখন ওয়ার্লড মেন্ট্রুয়েশন ডে-ও পালিত হচ্ছে। কিন্তু তাতে কতটুকুই বা বদলাচ্ছে পরিস্থিতি।
ঋতুস্রাব চলাকালীন মেয়েরা বাকি সময়ের মতো স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারেন না। নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি তাঁদের হয়। তাই সারা বিশ্বে এই পর্বের ছুটির অধিকার নিয়ে আন্দোলন চলেছে। ২০১৭ সালে কেরলের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মাসে একটি করে ‘পিরিয়ড লিভ’ দেওয়া শুরু করেছিল নারীকর্মীদের। ২০২০ সালে ‘জ়োম্যাটো’ তার ৩৫ শতাংশ মহিলা কর্মচারীর জন্য বছরে ১০ দিন পর্যন্ত এই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বিহার সরকার ১৯৯২ সাল থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারীকর্মীদের ঋতুপর্বে ছুটি দিয়ে আসছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া বিশ্বে প্রথম এই ছুটি দেওয়া শুরু করেও ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেয় লিঙ্গবৈষম্যের কারণে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান ইত্যাদি দেশে এই ছুটির প্রচলন হয়েছে। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে স্পেনে এই ছুটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশে কিছু কোম্পানি ‘পিরিয়ড লিভ’ দিয়েছে। ঋতুপর্বের ছুটির চাহিদার তাই যথেষ্ট সারবত্তা রয়েছে। এই সময় বিশ্রাম জরুরি কিন্তু মনে রাখা দরকার বিশ্রাম মানে অক্ষমতা নয়।
আরও পড়ুন-হজযাত্রীদের প্রথম উড়ান আজ নামছে কলকাতায়
পিরিয়ড হাইজিনের বিষয়, লজ্জার নয়
প্রতি মাসেই একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে দেহ থেকে রক্তের সঙ্গে জরায়ুর কিছু অংশ (এন্ডোমেট্রিয়াল স্তর) বেরিয়ে যাওয়া সুস্থ স্বাভাবিক নারীর জীবনে অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা, যাকে আমরা পিরিয়ড বলে জানি। প্রতি মাসের সেই রক্তক্ষরণের ফলে পেটে ব্যথা, মুড সুইং, ক্লান্তি, অবসাদ, গা-ব্যথা, মাথাব্যথা— সব নারী জীবনেরই নিয়মিত ঘটনা। এখানে কুসংস্কার, লোকলজ্জার কোনও জায়গা নেই। তাই প্রয়োজন সহানুভূতিশীল মনোভাবের এবং মেয়েদের নিজেদের সচেতনতার, হাইজিন বজায় রাখার।
বেশি ভ্যাজাইনাল ওয়াশ বা কড়া সাবান ব্যবহার করবেন না। কারণ এর ফলে ভ্যাজাইনার পি এইচ ব্যালেন্স নষ্ট হতে পারে। হালকা সাবান বা সুগন্ধী ওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্লো বেশি হোক বা কম দিনে অন্তত তিনবার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদল করা জরুরি। কারণ দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করলে ওই স্থানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। যতবার বদল করবেন ভ্যাজাইনার আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।
ট্যাম্পন বা প্যাড বায়োডিগ্রেডেবল বা ডিসপোজেবল যাই হোক না কেন, এটি ব্যবহারের আগে পরিষ্কার কি না দেখে নিন। যেহেতু এইগুলো যোনিতে ঢোকাতে হয় তাই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ব্যবহার করার আগে আপনার হাত ধুয়ে নিন।
প্যাডের বিকল্প হিসেবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে পারেন। তা নিয়মিত ধুয়ে নিন। প্রতিবার ব্যবহারের জন্য সাধারণ ইউজ অ্যান্ড থ্রো কাপও ব্যবহার করতে পারেন।
স্যানিটারি ন্যাপকিন এমন ব্যবহার করতে হবে যা রক্ত শুষে নিয়ে উপরের ভাগ শুকনো রাখে। তাতে সংক্রমণের প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে সুতির প্যান্টি ব্যবহার করলে ভাল।