প্রতিবেদন : কথা দিয়ে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শুরু হয়ে গেল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেবকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ করবে রাজ্য সরকারই। কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে আর বসে থাকা নয়। যে কথা সেই কাজ। ভোট মিটতেই শুরু হল সার্ভে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ নিয়ে ১২ জুন সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিদায়ী সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও ঘাটালের সাংসদ দেব, আর সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল, আপাতত ঘাটালের বন্যার জলের চাপ কমাতে দাসপুরের দুই সেচ খাল চন্দেশ্বর ও শোলাটোপা খালকে গভীর করে খনন করা হবে। সেই বৈঠকের ১০ দিনের মাথায়, সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শনিবার এসেছিলেন দাসপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খতিয়ে দেখলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-হলং ঘুরে বৈঠক বনমন্ত্রীর, জমা পড়ল প্রাথমিক রিপোর্ট
সেই বৈঠকেই প্রস্তাব ছিল দাসপুরের দুটি সেচ খালকে শিলাবতী ও কংসাবতীর সঙ্গে যুক্ত করে জলের চাপ কমানো। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে আজ দাসপুরে এসেছিলেন সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল, দাসপুরের একাধিক তৃণমূলের নেতৃত্বও। উপস্থিত ছিলেন জেলা সেচ দফতরের একাধিক আধিকারিক। প্রতিনিধি দলটি দাসপুরের চন্দেশ্বর খালের মুখ থেকে দাসপুরের সুরতপুর পর্যন্ত এলাকায় খতিয়ে দেখেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রস্তাবিত খাল কাটানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন প্রতিনিধি দল।
লোকসভা ভোটে প্রধান ইস্যু ছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল থেকে বিরোধীরা। লোকসভা ভোটে ঘাটালে দেব জেতার পরেই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের শুরু হল তোড়জোড়। কয়েক দশকের প্রতীক্ষার পর এই কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ঘাটাল-সহ গোটা মেদিনীপুরের বাসিন্দারা।