সংবাদদাতা, হুগলি : প্রতি বছর আষাঢ়ের সাত তারিখ থেকে রজঃস্বলা হয় ধরিত্রী। বিশ্বাস করা হয় এই সময় ঋতুমতী হন মা কামাখ্যা। তাই এদিন থেকে তিনদিন বন্ধ থাকে সব মাতৃশক্তির মন্দির। ঢেকে রাখা হয় কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর প্রতিমার মূর্তি। কিন্তু এই বছর এই প্রাচীন প্রথা ভেঙে খোলা থাকল হুগলির নালিকুলের সবুজ কালী মন্দির।
আরও পড়ুন-ভারতের হাতে আজ অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য
শুরু হয়েছে অম্বুবাচী। শাস্ত্রীয় পুরাণ অনুযায়ী বলা হয়, মহিলারা যেমন ঋতুমতী হলে সন্তান ধারণে সক্ষম হন তেমনই ধরা হয় এই অম্বুবাচীর ধরণী সবুজ ওঠেন। এর পরেই শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে ধরিত্রী। সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী মহিলারা যখন ঋতুমতী হন তখন মন্দিরে ওঠা বারণ থাকে। পুজো করাও নিষিদ্ধ। যে কোনও শুভ কাজে ব্রাত্য রাখা হয় তাঁদের। এই অম্বুবাচী যেহেতু দেবী ঋতুমতী হন সেই জন্য পুজোপাঠ বন্ধ থাকে মন্দিরগুলোতে। এবার এই সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মন্দির খুলে পুজো করছেন সবুজ কালী মায়ের মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের আহ্বায়ক দেবজ্যোতি অধিকারীর কথায়, মাকে আমরা বাড়ির মেয়ের মতো দেখি। তাই বাড়ির মেয়েকে যেমন আমরা ওই সময় খাওয়া বন্ধ বা তার মুখ দেখা বন্ধ করতে পারি না তেমনই দেবীর সঙ্গেও এই মনোভাব আমাদের দূর করতে হবে। ঋতুমতী হওয়া কোনও অচ্ছুত বা কোনও ব্যাধি নয়। বরং এটা মাতৃত্বের ইঙ্গিত। এই কুসংস্কার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।