শুরু থেকেই একের পর এক ধাক্কায় লোকসভায় (Lok Sabha Speaker) বিপর্যস্ত এনডিএ শিবির। দ্বিতীয় দিনেই মোদির অহং চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল বিরোধীদের রণং-দেহি মনোভাবে। লোকসভার অধ্যক্ষ পদে এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকে দাঁড় করিয়ে দিল ইন্ডিয়া। ফলে স্বাধীন ভারতে এই প্রথম লোকসভার স্পিকার নির্বাচনে ভোটাভুটি হতে চলেছে। এবং সেটা হতে পারে বুধবারই। এর আগে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন সর্বসম্মতিক্রমে। কিন্তু এনডিএ নেতৃত্বের অযৌক্তিক জেদ এবং অসৌজন্যের কারণেই দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে এবারে ঘটতে চলেছে এই অভূতপূর্ব ঘটনা। মঙ্গলবার এনডিএ-র ওম বিড়লার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইন্ডিয়ার কে সুরেশও। এখানেই শেষ নয়, ডেপুটি স্পিকার পদের জন্যও লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীশিবির। অর্থাৎ, গেরুয়া শিবির এবং তার বন্ধুদের ইন্ডিয়া নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিতে চাইছে, সংখ্যগরিষ্ঠতার দম্ভে দাদাগিরির দিন শেষ।
আসলে বিরোধীরা অধ্যক্ষ পদে চেয়েছিলেন সাতবারের সাংসদ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সুরেশকেই। তাঁদের যুক্তি, সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার দৌলতে অধ্যক্ষ পদে সবচেয়ে উপযুক্ত তিনিই। কিন্তু ইন্ডিয়ার যুক্তিতে কর্ণপাত করেননি এনডিএ নেতৃত্ব। তাঁদের পছন্দ, আগের অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকেই। তবুও অধ্যক্ষপদে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করতে রাজি হয় ইন্ডিয়া। বিনিময়ে তারা শুধু শর্ত দিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকার পদটি ছাড়তে হবে তাঁদের। কিন্তু রাজি হওয়া তো দূরের কথা, পরে জানাচ্ছি বলে একটা উত্তর পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন করেনি তারা।
আরও পড়ুন- কেজরিকে দেওয়া জামিন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের! থাকতে হবে জেলেই
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজনাথ সিং ফোন করে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের অনুরোধ জানান। ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে খাড়্গে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষপদে (Lok Sabha Speaker) এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করবেন তাঁরা। তবে বিনিময়ে উপাধ্যক্ষ পদটি ছাড়তে হবে তাঁদের। এই শর্ত শুনে রাজনাথ বলেন, কলব্যাক করছি। কিন্তু সেই ফোন আর আসেনি এনডিএ শিবির থেকে। এই অসৌজন্যের রাজনীতিরই যোগ্য জবাব দিতে এবার তৈরি ইন্ডিয়া।