প্রতিবেদন : ধারাবাহিকভাবে নিজের তুঘলকি আচরণে বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক জটিলতা সৃষ্টি করেছেন রাজ্যপাল বোস। নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথের বিষয়েও অযথা জলঘোলা করছেন রাজ্যপাল। অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিধানসভাকে এড়িয়ে দুই বিধায়ককে রাজভবনে শপথ নিতে ডাকেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিকভাবেই তাতে রাজি হননি বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়ক। তাঁরা রাজ্যপালকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান। এরপরেও গাজোয়ারি করে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিক রীতি ও নীতি অনুযায়ী কোনও বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভাতেই হওয়ার কথা। রীতি অনুযায়ী শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভা অধ্যক্ষ। তিনি কোনও কারণে না পারলে তখন বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিধানসভাকে একেবারে এড়িয়ে গিয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে শপথগ্রহণ নিয়ে গাজোয়ারি করছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দুই কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের। বিধায়কের পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসেন সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee) ও রেয়াত হোসেন। রাজ্যপাল দুপুরে দুই বিধায়ককে তিন পাতার চিঠি দিয়ে নানা আইনি ব্যাখ্যা দেন। পাল্টা দুই বিধায়ক রাজ্যপালকে জানান, কাল বুধবার তাঁরা বিধানসভায় ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত থাকবেন, রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করবেন। নিজের ক্ষমতার প্রদর্শনে ও বিজেপির উসকানিতে ক্রমাগত বিধানসভার বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন রাজ্যপাল। কখনও ফাইল আটকে রাখছেন, কখনও বিল আটকে রাখছেন, কখনও শপথগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি করছেন। প্রতি মুহূর্তে রাজ্য সরকার ও বিধানসভাকে অপদস্থ করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। দেখা গিয়েছে প্রতিবারেই রণে ভঙ্গ দিতে হয়েছে তাঁকে। তবুও এই অযাচিত কাজগুলি চালিয়ে গিয়েছেন। এখনও যাচ্ছেন। দুই বিধায়কের শপথগ্রহণকে ঘিরে এই জটিলতায় ব্যপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- রেভান্নার বিরুদ্ধে দায়ের যৌন নির্যাতনের চতুর্থ মামলা! নাম জড়ালো প্রাক্তন বিধায়কেরও