প্রতিবেদন : কিছু না জানিয়েই কংগ্রেস লোকসভার অধ্যক্ষ (Lok Sabha Speaker) পদে প্রার্থী দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এই নিয়ে দলের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে তৃণমূলের সংসদীয় দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার দুপুরে একদফা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন সংসদের ভিতরেই। যদিও তার আগে বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। কোনওরকম আলোচনাও করা হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। একটি দল তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতোই এ-বিষয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনে ভোটাভুটি হতে চলেছে। এবং সেটা হতে পারে বুধবারই। এর আগে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন সর্বসম্মতিক্রমে। কিন্তু এনডিএ নেতৃত্বের অযৌক্তিক জেদ এবং অসৌজন্যের কারণেই দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে এবারে ঘটতে চলেছে এই অভূতপূর্ব ঘটনা। মঙ্গলবার এনডিএ-র ওম বিড়লার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কে সুরেশ। এখানেই শেষ নয়, ডেপুটি স্পিকার পদের জন্যও লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধীরা অধ্যক্ষ পদে চেয়েছিলেন সাতবারের সাংসদ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সুরেশকেই। তাঁদের যুক্তি, সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার দৌলতে অধ্যক্ষ পদে সবচেয়ে উপযুক্ত তিনিই। কিন্তু ইন্ডিয়ার যুক্তিতে কর্ণপাত করেননি এনডিএ নেতৃত্ব। তাঁদের পছন্দ, আগের অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকেই। তবুও অধ্যক্ষ পদে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করতে রাজি হয় ইন্ডিয়া। বিনিময়ে তারা শুধু শর্ত দিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকার পদটি ছাড়তে হবে তাঁদের। কিন্তু রাজি হওয়া তো দূরের কথা, পরে জানাচ্ছি বলে একটা উত্তর পর্যন্ত দেওয়ার প্রয়োজন করেনি তারা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়ে রাত থেকেই শুরু দখলমুক্তির কাজ