প্রতিবেদন : হকার ছাড়া কলকাতাকে আলাদা করা মুশকিল। শুধু বাংলা বা দেশ নয়, বিদেশেও স্ট্রিট হকিং একটা পরিচত দৃশ্য। হকারদের একটি নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। অধিকাংশই তা মেনে চলেন। কিন্তু কেউ কেউ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যথেচ্ছভাবে ফুটপাথ, রেললাইন এমনকী রাস্তা দখল করে বসে আছেন। এই বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে বলেছেন কঠোরভাবে আইন মেনে চলতে। হকারির মাধ্যমে রাজ্যের বহু মানুষের দিন গুজরান হয়। তাদের সংসার চলে। কিন্তু যারা আইনকে উপেক্ষা করে জবরদখল করছে, তাদের সরিয়ে দেওয়ার কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কারণ, মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে প্রশাসন কোথাও যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, পথ চলতি মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।
আরও পড়ুন-সিকল সেল অ্যানিমিয়া
এ-বিষয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণআন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। মানুষ কী বলতে চাইছেন সেটা তিনি বুঝতে পারেন। কোথায় অসুবিধা, ক্ষোভ, অভিমান আছে তিনি সেটা বোঝেন। তিনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাঁর ওষুধ কাজ করছে। মাঝে মাঝে ঝাঁকুনির প্রয়োজন হয়। দক্ষ প্রশাসক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী সেটা দিয়েছে। আসলে এটা শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া। সেই জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে সফল হয়। তাঁর সংযোজন, পুলিশ কাজ করছে না এটা ভুল কথা। কোথাও কিছু না কিছু জটে হয়ে যায়। ফুটপাথ দোকান হয়ে। এরসঙ্গে চাহিদা বা কর্মসংস্থান থাকে। ভারসাম্যের সীমা লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন ঠিক করে দেয়। লাগামছাড়াভাবে হকার বসলে পথচারীদের অসুবিধে হচ্ছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ। হকাররা কেউ শত্রু নন। তবে নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই এক এবং তা মেনে চলতে হবে সকলকে।