প্রতিবেদন: ১৪ বছরের কারাবাসের যন্ত্রণার অবসান হল ক্ষমাপ্রার্থনায়। বুধবার সাইপানের আদালতে নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চাইলেন উইকিলিক্স কর্তা জুলিয়েন অ্যাসেঞ্জ (Julian Assange)। স্বল্প সময়ের শুনানিতে যবনিকা পতন হল আমেরিকার সেনাবাহিনীর তথ্য ফাঁস মামলায়। মুক্তির পর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় নিজের বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরছেন। যদিও অ্যাসেঞ্জের মুক্তিতে হতাশ মার্কিন গোয়েন্দারা। আমেরিকায় পা রাখবেন না বলে কমনওয়েলথভুক্ত দ্বীপ নর্দার্ন মারিয়ানার সাইপানের আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অ্যাসেঞ্জ। সেখানে তিনি জানান, একজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী হিসাবে তথ্যদাতাদের সংরক্ষিত তথ্য দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করেছিলেন। যদিও তাঁর স্ত্রী স্টেলা অ্যাসেঞ্জের দাবি, তথ্য প্রকাশ করে কোনও অন্যায় করেননি জুলিয়েন। তাঁকে শাস্তি দেওয়াই অন্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ‘অন্যায়’ যুদ্ধনীতির তথ্য ফাঁসের উদাহরণও তুলে ধরেন। তবে জুলিয়েনের ভাই গ্যাব্রিয়েল শিপটনের জানান, তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করলে গোটা মামলাতেই যবনিকা পতন হবে।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক নেতা হওয়ার বাসনা ছিল কিংপিন মুখিয়ার
যদিও অ্যাসেঞ্জের (Julian Assange) জেলমুক্তির ঘটনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকার গোয়েন্দারা। প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান জেমস ক্ল্যাপারের দাবি, এই মামলা কখনও শেষ হওয়ার নয়। অ্যাসেঞ্জের যুক্তি বুঝতে পারছেন দাবি করেও তাঁর কটাক্ষ, তিনি কখনই নায়ক নন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি চার্জ আনা হয়েছে। তাঁর কীর্তিতে তথ্যদাতা ও কাজের পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিন সাইপানের আদালত থেকে বেরিয়ে সোজা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার উদ্দেশে রওনা দেন জুলিয়েন অ্যাসেঞ্জ। সেখানেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর স্ত্রী স্টেলা অ্যাসেঞ্জ। তাঁর মুক্তির পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেস ধন্যবাদ জানান আমেরিকাকে। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, জুলিয়েন অ্যাসেঞ্জের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার সম্পর্কে প্রভাব পড়ুক তিনি তা চান না।