সংবাদদাতা, দিঘা : প্রতি বছর দিঘা (Digha), মন্দারমণি-সহ সমুদ্র সৈকতগুলিতে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বেশ কিছু। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর যথেষ্ট উত্তাল থাকে। এই সময় নিম্নচাপ এবং কোটালের জেরে সমুদ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। এই সময় দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। পর্যটকরা সমুদ্রস্নানে নেমে যে কোনও সময় বিপদের মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু তাঁদের একাংশ কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে স্নান করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন। অনেক সময় মদ্যপ অবস্থায় স্নানে নামার ফলেও দুর্ঘটনা ডেকে আনেন। এবারও দিঘায় সৈকতে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। গত সপ্তাহে দিঘা (Digha) ও মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে দুজন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ওই দুই সৈকতে আরও তিন পর্যটক স্নানে নেমে কোনওক্রমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। গত মাসেও দিঘায় এক যুবকের তলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সামনেই বর্ষার মরশুম। বছরের এই সময়ই সমুদ্র বেশি উত্তাল থাকে। তাই বর্ষা আসার আগে থেকেই সমুদ্রস্নানে নেমে বারবার পর্যটকের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঠেকাতে এবং সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রচারের উপর জোর দিল পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে দিঘা থানা ও দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশ এ বিষয়ে জোরদার প্রচার শুরু করেছে। কয়েকদিন ধরে চলছে প্রচার। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত মাইকে প্রচার চলছে। একইভাবে মন্দারমণির সৈকতেও প্রচার চালিয়ে পর্যটকদের সচেতন করা হয়। যাঁরা স্নান করতে করতে গভীরে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের সরিয়ে আনা হয়। পর্যটকদের উদ্দেশে বলা হয়, কোনওভাবেই কোমর সমান জলের থেকে গভীরে নামা যাবে না। মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নামা যাবে না। বিষয়টি নজরে এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ প্রশাসনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে তলিয়ে যেতে থাকা ঝাড়খণ্ডের দুই যুবককে কোনওমতে উদ্ধার করেন নুলিয়ারা। এর আগে গত ২৫ মে মেরিনা ঘাটে ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বেদপ্রকাশ সাহু তলিয়ে মারা যান। দিঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র ও দিঘা কোস্টাল থানার ওসি শাহেনশা হক বলেন, সমুদ্র সৈকত জুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। সি-হক গোলাঘাট, ক্ষণিকা ঘাট, পুলিশ হলিডে হোম ঘাট, মেরিনা ঘাটঞঞ-সহ যেসব ঘাটে ভিড় বেশি হয়, সেখানে প্রচারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে যাঁরা সমুদ্রস্নানে নামছেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে। নুলিয়াদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কাল নবান্নে দখলমুক্তি নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী