রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি পার্কিং (Illegal Parking) ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি পার্কিং জোন নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়,”এরা নেতা এবং পুলিশকে টাকা দিয়ে অনেক জায়গায় বেআইনিভাবে পার্কিং জোন তৈরি করেছে।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ,”সবচেয়ে বেশি বেআইনি পার্কিং রয়েছে বিজেপির।” বেআইনি পার্কিং (Illegal Parking) জোন ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা রাজ্যের কোথায় কী অবস্থা, তা নিয়ে রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বললেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই আলিপুরে ‘সম্পন্ন’ (পার্কিং জোন) তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরে হাতিবাগান ও বেহালাতেও এই ধরনের পার্কিং জোন তৈরি করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন,”যদি উপযুক্ত জায়গা হয়, অন্য কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে আইনিভাবে আমরা পার্কিং জোন করে দেবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় কতগুলি বেআইনি পার্কিং জোন রয়েছে তা জনানোর জন্য পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজারহাট, নিউটাউন, হাওড়া, আসানসোল ও দুর্গাপুরে কত বেআইনি পার্কিং রয়েছে তারও হিসেব চেয়েছেন। পাশাপাশি ওই জায়গাগুলি আইনি পার্কিং জোন তৈরি হওয়ার উপযুক্ত কি না তা জানতে হবে। যদি উপযুক্ত হয় তবে টেন্ডার করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে হবে এই টেন্ডার। এটা মেয়র নিজে দেখবেন। দেখে রিপোর্ট দেবে। নিজেরা করে দেবে না। সিপিকে সঙ্গে রাখতে হবে। দেখে গোটা তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন- নতুন হকার বসালে গ্রেফতার! উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়, ‘ডেডলাইন’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেআইনি পার্কিংয়ের পরে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “রাস্তা বানানোর পরে পাঁচ বছর না চললে ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। হবে বড়সড় জরিমানাও। বেআইনি বাড়ি, বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক না করা হলে বাড়ি অধিগ্রহণ করা হবে।” একইসঙ্গে জানান,”বিপজ্জনক বাড়ি ঠিক করার জন্য তহবিল গড়তে হবে।”
পাশাপাশি পুকুর ভরাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “গতকাল আমাকে বলেছে, কোনও একটা পলিটিকাল পার্টি পুকুর ভরাট করে বাড়ি করে নিয়েছে। আসানসোলে এমনটা হয়েছে। পুকুর ভরাট করে এটা করেছে আরএসএস। ল্যান্ড রেকর্ডে যদি পুকুর থাকে তাহলে সেই পুকুর ভরাট করল কীভাবে? তৃণমূলের পার্টি অফিস যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ওই পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হবে না কেন?”